হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, ঢাবি প্রশাসনের দুঃখ প্রকাশ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি (ঘৃণা স্তম্ভ হিসেবেও পরিচিত) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে সিটি করপোরেশন কর্মীরা।
এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার দিবাগত রাতে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার রাতের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. সাইফুদ্দীন আহমদের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, শনিবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জুলাই আন্দোলনে এ দুটি গ্রাফিতি বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে। এই স্মৃতিকে তাজা রাখা এবং প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরো সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।
এতে আরও বলা হয়, প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এই স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।
এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, এদেশের প্রতিটি দেয়ালে আবার জুলাই নেমে আসুক।প্রতিটি দেয়ালে আবার রচিত হউক জুলাইয়ের ইশতিহার। গতকাল সন্ধ্যায় একই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সমাজের ব্যানারে এ প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার গভীর রাতে টিএসসি সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ মুজিব ও হাসিনার ব্যঙ্গাত্বক গ্রাফিতি ক্রেন নিয়ে মুছতে আসে সিটি করপোরেশনের কিছু লোক। হাসিনার গ্রাফিতির মাথা পর্যন্ত মুছে ফেললেও মুজিবের পুরোটাই মুছে ফেলা হয়েছে। হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দিলে তারা এটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটা ছিল মূলত ঘৃণা স্তম্ভ। এটি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি। আমরা এটি দেখে প্রক্টরকে কল করলে প্রক্টর এসে জানান যে, তাকে গোয়েন্দা সংস্থা কল করেছেন শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার ছবি মুছে দেওয়ার জন্য। পরে প্রক্টর স্যার এস্টেট অফিসকে জানালে অফিস সিটি করপোরেশন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। যা শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অপহরণের ১২ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার হয়নি মার্চেন্ট ব্যবসায়ী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে: প্রকৌশলী জাকির সরকার
কাতারের কাটারা কালচার ভিলেজে বাংলাদেশি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আরব সফরে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে বিনিয়োগের আহ্বান জানাবেন
ভারতে আটক জেলেরা দেশে ফেরত আসতে পারেন সোমবার
কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার
পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘষে যুবক নিহত
ছাত্রদের মনে রাখতে হবে শুধু স্লোগান দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না- ডঃ আব্দুল মঈন খান
শেরপুরে আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল চৌধুরীসহ গ্রেফতার-২
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দুটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ
নোয়াখালীতে মাটির ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল কিশোর চালকের
আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা.শফিকুর রহমান
কলাপাড়ায় মাছ বোঝাই পিকআপের চাঁপায় শ্রমিকের মৃত্যু, চালক আটক
উত্তরখানে পুলিশ ছাত্র-জনতা ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় সভা
তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
ছাগলনাইয়া স্পোর্টস এরিনার যাত্রা শুরু
তেঁতুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
ফরিদপুরে সাংবাদিকের 'বাবা-মা' সহ তিনজনকে কুঁপিয়ে জখম
সেনা নয়, পিটিআই শুধুমাত্র সরকারের সাথে কথা বলছে: ব্যারিস্টার গহর
প্রায় ১৪ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত বরিশালের দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে মাঠে আমন কাটার ধুম চলছে