যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান তারেক রহমানের

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ এএম | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ এএম

নানা বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মত-ভিন্নতা থাকবে, আমরা বসব, আলোচনা করব।

এমন কিছু আমরা বলব না, এমন কিছু করা থেকে আমরা বিরত থাকার চেষ্টা করব যাতে করে কোনোভাবেই স্বৈরাচার বা তার প্রেত্মাতারা আবার এদেশের মানুষের কাধে চেপে বসতে পারে। এটি হোক আমাদের প্রত্যাশা, এই হোক আমাদের শপথ আজকের এই ইফতার মাহফিলে। গতকাল শনিবার ১২ দলীয় জোটের ইফতার মাহফিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই আহ্বান করেন। রাজধানীর মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেল এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

আন্দোলনে সহকর্মী-আপনজনদের হারানোর কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আসুন যে ঐক্যকে নিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম, সেই ঐক্যকে আমরা ধরে রাখি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী দিনে এই ঐক্যকে বজায় রেখে, এই ঐক্যকে ধরে রেখে এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। এদেশের মানুষের প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে আমরা সকলে মিলে আলোচনার মাধ্যমে সকলে মিলে বাস্তবায়ন করবো।

আড়াই বছর আগে পরিবর্তনের লক্ষ্যে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টিও তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে। সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এখানে আপনারা সবাই রাজনীতিবিদ। গণতন্ত্র বলতে একজন সাধারণ মানুষের কাছে কি বুঝা যায়? সাধারণ মানুষের কাছে একথায় নির্বাচন, নির্ভয়ে ভোট দেয়ার যে সিষ্টেম সেটিকে গণতন্ত্র বলি আমরা। কেউ কেউ বলছেন যে সংস্কার শেষ হবে তারপরে নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যেটা শেষ হয়ে যায় সেটা তো সংস্কার হতে পারে না। সংস্কার একটা কনটিনিউআস প্রসেস, চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে গাফেলতিগুলো আছে সেই ত্রুটিগুলোকে আমরা সংস্কার করব, পরিবর্তন করব এবং সময়ের সাথে আরও যখন সামনে এগিয়ে আরও ভালো ব্যবস্থা করবো, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করব। দেশের মানুষের জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেটিকে আমরা পরিবর্তন করব, উন্নত করবৃ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি এগিয়ে যাওয়ার পর আরও ভালো করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, এখানে আমরা যারা আছি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দৃ আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নমত আছে, আদর্শ সবার এক নয়ৃকিছু কিছু ভিন্নতা আছে। কিন্তু একটি জায়গা আমরা সকলে একৃ তা হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ ও গণতন্ত্র। এখানে কিন্তু কোনো বিভেদ নেই। ব্যাসিক বিষয়টিতে আমরা সকলে একত্রীত।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও মুখপাত্র জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় বিএনপির সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) আখতার হোসেন, গণ অধিকার পরিষদ ফারুক হাসান ও জাতীয় পার্টির(কাজী জাফর) কাজী নাহিদ বক্তব্য রাখেন।

ইফতারে বিএনপির জয়নুল আবদিন ফারুক, মাহাদি আমিন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫
আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ
মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন
রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!
নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
আরও
X

আরও পড়ুন

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের