যুদ্ধবন্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম
অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশও এ ইস্যুতে ভোটদানে বিরত ছিল। এর কারণ কি, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এক ব্রিফিংয়ে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ‘কারও প্রতি শত্রæতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কারণেই ইউক্রেন ইস্যুতে ভোটদানে নীরব থাকে বাংলাদেশ।
সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা এ সংঘাত বন্ধের আহবান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ জাতিসংঘ সনদের যে উদ্দেশ্য ও নীতি, তা যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানাতে গুরুত্ব দিই। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও কারও প্রতি শত্রæতা নয়- জাতির পিতার এ নীতি অনুসারে বাংলাদেশ একটি শান্তি কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। সার্বভৌম, সমস্ত রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ও সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লিখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ইউক্রেনের পরিস্থিতি, বিশেষ করে বেসামরিক প্রাণহানি, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ও বিশ্বজুড়ে আর্থ-সামাজিক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চ‚ড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ ও টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় ক‚টনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে, এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘ইউএন চার্টার প্রিন্সিপ্যাল আন্ডারলাইয়িং এ কমপ্রিহেন্সিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন’ শীর্ষক রেজুলেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে পক্ষে ভোট দেয় ১৪১ দেশ। ভোট দেয়নি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ৩২ দেশ। বিপক্ষে ছিল- বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মালী, ইরিত্রিয়া ও রাশিয়াসহ সাতটি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশ ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থনে লন্ডনে ইন্ডিয়া হাউজ অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন হিল্লোল
রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নয় ভর্তুকী প্রত্যাহার করা হয়েছে -রেল মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম
জার্মানির উৎপাদন শিল্পে বিপর্যয়
ঢাকা - ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার
লালমনিরহাটের অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করেন মুসল্লিরা
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী নারী হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
আরও বিপাকে কেজরিওয়াল, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
রাখিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আদালতের
আইসিসির প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করলেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম !
চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
রিজওয়ান টি-টোয়েন্টির ব্রাডম্যান: আফ্রিদি
রাজধানীসহ সারাদেশে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি চেয়ে ইসতেস্কা নামাজ আদায়
মুস্তাফিজের চলে যাওয়া চেন্নাইর জন্য ক্ষতির বিষয়: হাসি
সাভারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
শাকিবের ‘তুফান’-এ বিশেষ চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু
সোনার দাম ভরিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
নোয়াখালীতে গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের পাশে পুলিশ সুপার
ওডেসায় রুশ ড্রোন হামলায় নয়জন আহত