যুদ্ধবন্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম
অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশও এ ইস্যুতে ভোটদানে বিরত ছিল। এর কারণ কি, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এক ব্রিফিংয়ে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ‘কারও প্রতি শত্রæতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কারণেই ইউক্রেন ইস্যুতে ভোটদানে নীরব থাকে বাংলাদেশ।
সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা এ সংঘাত বন্ধের আহবান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ জাতিসংঘ সনদের যে উদ্দেশ্য ও নীতি, তা যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানাতে গুরুত্ব দিই। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও কারও প্রতি শত্রæতা নয়- জাতির পিতার এ নীতি অনুসারে বাংলাদেশ একটি শান্তি কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। সার্বভৌম, সমস্ত রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ও সম্মানের নীতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতিসংঘের সনদে উল্লিখিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ইউক্রেনের পরিস্থিতি, বিশেষ করে বেসামরিক প্রাণহানি, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ও বিশ্বজুড়ে আর্থ-সামাজিক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চ‚ড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ ও টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় ক‚টনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে, এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘ইউএন চার্টার প্রিন্সিপ্যাল আন্ডারলাইয়িং এ কমপ্রিহেন্সিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন’ শীর্ষক রেজুলেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে পক্ষে ভোট দেয় ১৪১ দেশ। ভোট দেয়নি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ৩২ দেশ। বিপক্ষে ছিল- বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মালী, ইরিত্রিয়া ও রাশিয়াসহ সাতটি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশ ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া।
বিভাগ : জাতীয়
আরও পড়ুন

পুরো ঢাকায় ঘুরবে মেট্রোর চাকা

দেশি ফলেই ইফতারি

নিজের পাতা ফাঁদেই আটকেছে যুক্তরাষ্ট্র

কালো আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার চরাঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন

পাকোড়া ছাড়া ইফতারই হয় না পাকিস্তানে

বাছুরের গায়ে স্মাইলি ইমোজি

সত্তর বছর পর

আধা ঘণ্টার পরিচয়ে কিডনিদান

প্রথম আলোর ভিত্তিহীন সংবাদের নিন্দা বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের

হলিউড শীর্ষ পাঁচ

হকি ঢাকা ইউনাইটেড ও ব্যাচেলর্সের জয়

এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে সিঙ্গাপুরে যাবে কিশোরীরা

মতলবে ৩ প্রতিষ্ঠান কে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এবার পুরুষ সাফে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দেশ!

দানব’ ব্ল্যাক হোলের সন্ধানে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা গিলে নিতে পারে ৩,৩০০ কোটি সূর্যকে

স্বাধীনতার উপর আঘাত আসলে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব : হানিফ

গণমাধ্যম স্বাধীন আছে, অপসাংবাদিকতা কেউ সমর্থন করে না : তথ্যমন্ত্রী

করাচিতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু

মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’ ভারতজুড়ে ১১ ভাষায় পোস্টার, গ্রেফতার ৮