রোজা ঈমানদারদের জন্য ঢাল স্বরূপ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৪ এএম

রমজান হচ্ছে ত্যাগের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস, আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস। এ বরকতময় মাসে একে অপরের সহমর্তিতা ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। রোজা ঈমানদারদের জন্য ঢাল স্বরূপ। হালাল রোজির দ্বারা ইফতার সাহরি খেতে হবে। আজ জুমার খুৎবাপূর্ব বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো.রুহুল আমিন আজ জুমার বয়ানে বলেন, মহান আল্লাহপাক বিশেষ উপহার হিসেবে উম্মতে মোহাম্মদীকে তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান দান করেছেন। পবিত্র রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
এ বরকতময় মাসে একে অপরের সহমর্তিতা ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।' খতিব বলেন, আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন সিয়াম একমাত্র আমার জন্য এর প্রতিদান আমিই দিবো। খতিব বলেন, রোজা ঈমানদারদের জন্য ঢাল স্বরূপ। হালাল রোজির দ্বারা ইফতার সাহরি খেতে হবে। মাহে রমজানের লাইলাতুল কদরের এক রাত্রির ইবাদত বন্দেগি করলে এক হাজার বছরের চেয়ে বেশি নেকী নছিব হবে। এতেকাফ করার আমলও এই রমজান মাসে।
রাসূল (সা.) এর সাথে হজ করলে যে সওয়াব পাওয়া যাবে মাহে রমজানে ওমরাহ পালন করলেও সেই সওয়াব পাওয়া যাবে। রমজানে কেউ ঝগড়া বিবাদ করতে চাইলে বলতে হবে আমি রোজাদার। রোজাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই পালন করতে হবে। কেয়ামূল লাইল তারাহবি নামাজও যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। খতিব মুসল্লিদের সুবিধার্থে সারাদেশের মসজিদগুলোতে খতম তারাহবি এক পদ্ধতিতে পড়ার জন্য অনুরোধ জানান।
কামরাঙ্গীরচর রহমতিয়া জামে মসজিদে জুমার বয়ানে আজ খতিব মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেছেন, মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। আর মাত্র কয়দিন পরেই রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতসহ অনেক কল্যাণের মাস রমজানুল মোবরক শুরু হবে।
রমজানের বরকত ও কল্যাণ পেতে হলে আগে থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যেমন, সবগুলো রোজা রাখা এবং তারাবিহ নামাজ পড়ার মানসিক প্রতিজ্ঞা নেয়া, তওবা-ইস্তিগফার করা, ফরজ রোজার মাসলা-মাসায়েল জেনে নেয়া। গত রোজার অসমাপ্ত কাজগুলো চিহ্নিত করে এবার তা পরিপূর্ণ করার প্রতিজ্ঞা করা। রমজান শুরু হওয়ার আগেই এ সকল বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া অত্যন্ত জরুরি। খতিব বলেন, আফসোস এ সকল বিষয় পরিপূর্ণ প্রস্তুতি না থাকার কারণে রমজানের কল্যাণ থেকে আমাদের বঞ্চিত হতে হয়।
তিনি আরো বলেন, কিছু মানুষের প্রস্তুতি দেখলে মনে হয় রমজান শুধু ভোগের মাস, কেনাকাটার মাস, ব্যবসা-বাণিজ্যের মাস, ভালো খাবারের মাস। না আসলে তা নয়। বরং রামাজান হচ্ছে ত্যাগের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস, আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস। মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন আরো বলেন, শাবান মাসের ২৯ তারিখে চাঁদ তালাশ করা সুন্নাত। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এ সুন্নাতটি আজ বিলুপ্তির পথে। সুন্নাতটিকে আবার জীবিত করতে হবে।
বিভাগ : জাতীয়
আরও পড়ুন