ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১৬ চৈত্র ১৪২৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ সমার্থক : আরেফিন সিদ্দিক

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৩, ১১:০৭ পিএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ সমার্থক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। সুতরাং এই দিনটি বাঙালির জন্য উল্লেখযোগ্য দিন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো জন্মদিন পালন করতেন না। বাসায় সাধারণভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করা হতো। বঙ্গবন্ধু তাঁর জন্মদিনে কেক কাটায় বিরোধী ছিলেন। তাঁর জন্মদিনে একটি মাত্র অনুষ্ঠান করতেন তা হল, তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। এখান থেকে বুঝতে পারি বঙ্গবন্ধু কতটা শিশুবান্ধব ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে আজ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘বঙ্গবন্ধু ও জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক সিটি এডিটর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার।

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। যুদ্ধের সময় যারা ভূমিষ্ট হয়েছে তাদেরকে যুদ্ধ শিশু হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাদের জন্য যত ধরনের সুুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করেছেন।
আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা: মো: শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। সেই মহান বিশ্বনেতা তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। সেখানকার সেই ছোট শিশু খোকা। তিনি গরীব দুঃখী মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একদিনে তিনি নেতা হননি। যে বন্ধুর গায়ে জামা নেই তাকে জামা দিয়েছেন। মুসলিমদের সাথে হিন্দুদের যে বিরোধ তা দূর করার চেষ্টা করেছেন। বাঙালির জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই ও সংগ্রাম করে গেছেন।

প্রবন্ধে অজিত কুমার সরকার বলেন, ‘জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয় হঠাৎ করে হয়নি। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে একজন নেতার স্বপ্ন ও দূরদর্শী চিন্তা। সেই নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উপলব্দি ও দূরদর্শী চিন্তা থেকে জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ২৪ বছর আগে বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব। তাঁর মধ্যে বাংলার মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার চিন্তা উদ্ভবের কারণ প্রধানত দুটি, প্রথমত মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি; দ্বিতীয়ত অসম প্রক্রিয়ায় ভারতবর্ষের বিভাজন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতাই ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যান ও জ্ঞান । এই মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবনের ১৩ বছরেরও বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন কারাগারে। ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলার আনাচে-কানাচে। তাঁর নেতৃত্বে ২৩ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে সশস্ত্র রূপ লাভ করে। তাঁর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। নয় মাসের রক্ত¯œাত যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং দুই লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তথা বাঙালির জন্য জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
আলোচনা শেষে শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতৃবৃন্দ সকাল ১১ টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


বিভাগ : জাতীয়


আরও পড়ুন

ঈদে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার

ঈদে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার

পাকিস্তানে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে টিটিপি: সেনাপ্রধান

পাকিস্তানে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে টিটিপি: সেনাপ্রধান

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য প্রতিনিধিকে নিয়ে এক টেবিলে মির্জা ফখরুলের ইফতার

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য প্রতিনিধিকে নিয়ে এক টেবিলে মির্জা ফখরুলের ইফতার

যারা চট্টগ্রাম বন্দরকে একসময় কাউন্ট করতো না, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে এখন বিনিয়োগ করতে চায় : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

যারা চট্টগ্রাম বন্দরকে একসময় কাউন্ট করতো না, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে এখন বিনিয়োগ করতে চায় : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

চীনের আধুনিকায়ন বিশ্ব উন্নয়নে নতুন পথ দেখিয়েছে

চীনের আধুনিকায়ন বিশ্ব উন্নয়নে নতুন পথ দেখিয়েছে

গ্রাহকের দেওয়া টিপ দ্বিগুণ করে রাইডারকে দেবে ফুডপ্যান্ডা

গ্রাহকের দেওয়া টিপ দ্বিগুণ করে রাইডারকে দেবে ফুডপ্যান্ডা

ডলারের দাম বেড়েছে, রপ্তানিতে মিলবে ১০৫ টাকা

ডলারের দাম বেড়েছে, রপ্তানিতে মিলবে ১০৫ টাকা

শিপার্স কাউন্সিল অফ বাংলাদেশের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

শিপার্স কাউন্সিল অফ বাংলাদেশের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচকে গ্রেপ্তার করলো রাশিয়া

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচকে গ্রেপ্তার করলো রাশিয়া

মারা গেলেন আত্মহত্যা চেষ্টা করা শেকৃবির সেই ছাত্রী

মারা গেলেন আত্মহত্যা চেষ্টা করা শেকৃবির সেই ছাত্রী

কাল খুলছে মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন

কাল খুলছে মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন

আমিরাতে রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হাতেনাতে ধরতে পারলে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাসের জেল

আমিরাতে রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হাতেনাতে ধরতে পারলে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাসের জেল

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি কুবি সাংবাদিক সমিতির

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি কুবি সাংবাদিক সমিতির

সাংবাদিক হয়রানি ও আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশের উদ্বেগ

সাংবাদিক হয়রানি ও আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশের উদ্বেগ

মতলবে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

মতলবে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

আল্লামা শিব্বীর আহমদের দাফন সম্পন্ন

আল্লামা শিব্বীর আহমদের দাফন সম্পন্ন

ইসরাইলে দূতাবাস স্থাপন করেছে আজারবাইজান

ইসরাইলে দূতাবাস স্থাপন করেছে আজারবাইজান

কোটালীপাড়ায় অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে তিনতলা ভবন নির্মানের চেষ্টা

কোটালীপাড়ায় অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে তিনতলা ভবন নির্মানের চেষ্টা

সুনামগঞ্জে পৃথক দুটি মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, দুই জনের যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জে পৃথক দুটি মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড, দুই জনের যাবজ্জীবন

বাখমুতে প্রতিদিন ৫০০ সৈন্য হারাচ্ছে ইউক্রেন

বাখমুতে প্রতিদিন ৫০০ সৈন্য হারাচ্ছে ইউক্রেন