ভর্তুকি কমাতে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে’ চুক্তির আহ্বান সিপিডির
২৩ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

বিদ্যুতের বড় ঘাটতি মেটাতে ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের প্রয়োজন ছিল, তবে বর্তমানে আইনটি অদক্ষতার জায়গা তৈরি করছে বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটির মতে, জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের ফলে সরকারকে বিপুল পরিমাণ বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে। কোনো কোনো পক্ষ পাচ্ছে বাড়তি সুবিধাও। অবিলম্বে আইনটি বাতিল করার দাবি জানিয়ে সিপিডি বলছে, নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে- এমন চুক্তিতে গেলে বাড়তি ভর্তুকির চাপ থেকে সরকার সরে আসতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ‘নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২২ (খসড়া): এটি কি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবে?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে সিপিডি।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ২০০৯ সালে জরুরি বিদ্যুৎ আইনের প্রয়োজন ছিল। ওই সময় বড় রকমের বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল, সেটা মেটানোর জন্য চুক্তির দরকার ছিল। এরপর চারবার রিনিউ হয়েছে ওই আইন। আমরা মনে করি, এখন যে জায়গায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এরকম চুক্তির আর প্রয়োজন নেই।
দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ আইন ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আইন থেকে সরকারের সরে আসা দরকার। এই আইন বিভিন্নভাবে সমস্যা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি নিয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে, এর আগেও যেগুলো হয়েছে- সেগুলো এখন সরকারের জন্য বড় রকমের মাথাব্যথার কারণ। এর মূল কারণ এই দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ আইন। কয়েকবার এর সংশোধন করে এর মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। আমরা মনে করি অনতিবিলম্বে এই আইন অবলোপন এবং তা থেকে সরে আসা দরকার। যা হলে প্রতিযোগিতামূলক কাঠামোতে আমরা চলে যেতে পারবো।
সিপিডির এ গবেষণা পরিচালক বলেন, বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি সমন্বয় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির সমন্বয় করা হচ্ছে ভোক্তার ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে। অথচ এর পুরোটা হয়েছে ফল্টি (ভুল) যেসব পলিসি করা হয়েছে এই দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ আইনের অধীনে (তার কারণে)। এর ফলে বিপুল পরিমাণে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে, বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সেটির দায় ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দিয়ে সাবসিডি অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনটি যদি অবলোপন করা হয় এবং সেই অনুযায়ী সব চুক্তির সংশোধনী আনা হয়। নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে- এমন চুক্তির দিকে যদি যাওয়া হয়, তাহলে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যে বাড়তি ভর্তুকি, এখান থেকে ন্যাচারালি সরে আসার সুযোগ রয়েছে। ফসিল ফুয়েল থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে রিনিউয়েবল এনার্জির (নবায়নযোগ্য শক্তি) দিকে গেলে বড় রকমের ভর্তুকির চাপ থেকে সরে আসার সুযোগ রয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার মোজাম্মেল বাবু-ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ

ছয় দফা দাবিতে রাজশাহীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা

রাজশাহীর রফিকুল হত্যা মামলার আসামী র্যাবের হাতে গ্রেফতার

দাউদকান্দিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেফতার

বাতিল হলো সিলেটেরও একটি ইকোনমি জোন

ভিএফএস-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

সউদী নাগরিকদের জন্য ইউরোপে ভিসা-মুক্ত যাত্রার সম্ভাবনা, কৌশলগত বন্ধুত্বে নতুন অধ্যায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগের বিপরীতে উখিয়ায় পাহাড় কেটে নতুন করে রোহিঙ্গা শেড নির্মাণ- স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ

লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ রেখে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যাত্রীদের দুর্ভোগ

সিরিয়ায় শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্টকারীদের বিরোধিতা করবে তুরস্ক

হাসিনা আপাও বাংলাদেশে নেই, ভারতীয়দের পাতে তাই ইলিশও নেই!

রাজশাহীতে সংঘর্ষে আহত বিএনপি কর্মীর মৃত্যু

৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক একাডেমির শিক্ষার্থীদের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

ছুরিকাঘাতে সিলেটে নিহত এক যুবককে হত্যা: গ্রেফতার একজন

কলাপাড়ায় পাঁচটি দোকানসহ বিএনপির কার্যালয় ভস্মীভূত

সুনামগঞ্জে বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় ১২ গরু আটক

মতলবে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১

মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনায় বাইডেন- সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে ট্রাম্প

বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

হাসিনার মুখাকৃতি বানানোর সন্দেহে চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন