দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের মৃত্যু
২৪ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৯ পিএম
যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা শনাক্ত ও সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৩। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।’
বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা নির্মূলে গবেষণার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. মাহফুজা রিফাত বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখের মতো রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী হয়তো চিকিৎসা সেবার বাইরে থেকে যায়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন রোগটিতে ১০৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যা দৈনিক ১৮৫।
সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৮ লাখের বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে দৈনিক ৮৪২ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে যক্ষ্মা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং সহযোগী সংস্থাগুলো গত কয়েক দশকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং ২০১২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ২৩ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো, অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত, এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। তবে কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং ওষুধ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে এলে ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সাবিনা-মনিকাদের ফ্রিজ উপহার দিলো ওয়ালটন
ময়মনসিংহে মাদক মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড
দুর্ঘটনায় আহত পরিচালক হিসাবকে দেখতে হাসপাতালে নোবিপ্রবি উপাচার্য
আইপিএলে খেলা নিয়ে ‘প্রত্যাশা সীমিত’ রিশাদের
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ দেখাতে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা
পশ্চিমা গণতন্ত্র, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার দেউলিয়াত্ব রাষ্ট্র সংস্কারের কাঠামো হতে পারে না
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণঅধিকার পরিষদের বিনম্র শ্রদ্ধা
আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভাবমুর্তি রক্ষার আহবান শিক্ষক-কর্মচারিদের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়ায় সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমানের এপিএস দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের দূর্নীতি
টেলিটকের সঙ্গে এনআইডি সেবায় চুক্তি করতে চায় ইসি
কেজির মাপে গরু কিনে সেই পশু দিয়ে কোরবানী করা প্রসঙ্গে?
কালিয়াকৈরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
বনভোজনে মহেশখালীর ইউএনও মিকি মার্মা -অপসারণ দাবী
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দোকানপাটে হামলা ভাংচুর
জানুয়ারিতে বই দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি - সিলেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
রোহিতকে পার্থ টেস্টে খেলতে বললেন সৌরভ
নির্বাচনী সংস্কার হয়ে গেলেই ভোটের রোডম্যাপ : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনা পালানোয় মায়া হলে তার জন্য আরও একটি তাজমহল নির্মাণ করুন : ভারতকে রিজভী
১০০ দিনে সরকারের কার্যক্রম খুব একটা খারাপ হয়নি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ
সেই পলকেই এবার চ্যালেঞ্জ করলেন সুরো কৃষ্ণ!