জাতীয় পার্টির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কো-চেয়ারম্যান দয়াল কুমার বড়ুয়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা- ১৮ সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির এমপি পদপ্রার্থী। কিন্তু বহুদিন ধরে এলাকায় বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে এই এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি সরবরাহ, ক্রীড়া- সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার, যানজট নিরসনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকার সাধারণ মানুষ জলবদ্ধতার দুর্বিষহ জীবন যাপন থেকে মুক্তি পাবে। স্মার্ট ঢাকা গড়ে তুলতে নগরায়ন ও শিল্পায়ন গড়ে তুলবেন তিনি।

অধীপ গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট কলামিস্ট দয়াল কুমার বড়ুয়া একদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিদ্যুতায়ন প্রজেক্ট সফলভাবে বাস্তবায়ন করে দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে চলেছেন, অন্যদিকে তিনি তাঁর সুচিন্তিত লেখনীর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সুফল জনগণ কিভাবে পাচ্ছেন এবং জাতির পিতা যে একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি তাঁর সুচিন্তিত লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি জন্মসূত্রে চট্টগ্রামের হলেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় থেকে সফলভাবে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার একজন সফল কো-চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন বর্তমান প্রজন্ম একটি জলবায়ু সহিষ্ণু স্মার্ট ঢাকা নগরী পাবে। এখানে প্রচুর বৃক্ষরোপণ হবে। যানজট এবং জলজট মুক্ত ড্রেনেজ সিস্টেম হবে। পরিচ্ছন্ন নগরী হবে এবং প্রজন্ম একটি বিশুদ্ধ নাতিশীতোষ্ণ বাতাস পাবে। স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারবে। এ উত্তপ্ত নগরী আবার প্রাণ ফিরে পাবে। তিনি খুবই আশাবাদী যে, সকল মতের মানুষকে নিয়ে এই দেশটি সুশৃঙ্খল এবং স্থিতিশীল থেকে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৮ হলো বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে একটি। এটি ঢাকা শহরে অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৯১নং আসন। ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১,১৭,৪৩, ৪৪,৪৫,৪৬,৪৭,৪৮,৪৯,৫০,৫১,৫২,৫৩ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ, উত্তরা এবং উত্তরখান থানার এলাকা নিয়ে গঠিত। ২০০১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ করার পর, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে জনসংখ্যার পরিবর্তন প্রতিফলিত করার জন্য জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে এই নির্বাচনী আসন সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালে পুনর্নির্ধারণের ফলে ঢাকা মহানগর এলাকায় ৭টি নতুন আসন যোগ করা হয়, যার ফলে রাজধানীতে আসন সংখ্যা ১৩টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০টি-তে দাঁড়ায়।