সচিবালয়ের দুর্নীতির নথিপত্র পুড়িয়ে হাসিনা ও তার দোসররা রেহাই পাবে না: শাকিল উজ্জামান

Daily Inqilab টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম

কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেছেন, শেখ হাসিনার দোসররা পরিকল্পিতভাবে সচিবালয়ের ভিতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার দাস ও দোসররা এখনও দেশে রয়েছে। তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি ও লুটপাট এবং অপরাধ করেছে, এসব চিত্র যাতে বহির্বিশ্বে প্রচার না হয় সেজন্য শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ের দোসরদের দিয়ে নথিপত্রগুলো পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা তার দোসরদের দিয়ে সচিবালয়ের দুর্নীতির নথিপত্র পুড়িয়েও অপরাধ থেকে রেহায় পাবে না। দুর্নীতির জন্য শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।
 
 
শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবার সরকার, কোন গোষ্ঠীর সরকার নয়। আমরাও চাই কিছু যৌক্তিক সংস্কার হোক। যৌক্তিক সংস্কারের পরেই নির্বাচনটা হোক। এতো তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই।
 
 
  
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা যখন রাজপথে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন সচিবালয়ের ভিতর থেকেও বিভিন্ন কর্মকর্তারা ও আমলারা শেখ হাসিনার জন্য মিছিল করেছে। যে সকল কর্মকর্তা ও আমলারা শেখ হাসিনার পক্ষে বিগত সময়ে সচিবালয়ে থেকে মিছিল বের করেছে তারা এখনও কিভাবে সচিবালয়ে কর্মরত থাকে। এই সকল শেখ হাসিরার দোসদের কারণেই সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ হয়েছে।
 
 
 
  
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন উদয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাসেল, ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন মিয়া, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সিয়াম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ।
 

বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছেন :  আলহাজ্ব সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক
আগুনে পুড়েছে সবচেয়ে বিতর্কিত ফাইলগুলো: রিজভী
সচিবালয়ে আগুন টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা: মাওলানা মামুনুল হক
আওয়ামী লীগ যত আগুন দিবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই সমমর্যাদার ভিত্তিতে: আলতাফ হোসেন চৌধুরী
আরও

আরও পড়ুন

৪১ বছর ইমামতি করা ইমামকে রাজকীয় বিদায়

৪১ বছর ইমামতি করা ইমামকে রাজকীয় বিদায়

ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিদেশি কর্মী, ভিসা নিয়ে বিতর্ক

ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিদেশি কর্মী, ভিসা নিয়ে বিতর্ক

আজও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

আজও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

মাদারীপুরের মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

মাদারীপুরের মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশের মানুষ ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দিবে: মিজানুর রহমান আজহারী

বাংলাদেশের মানুষ ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দিবে: মিজানুর রহমান আজহারী

টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নেপাল গেল সৈয়দপুরের দল

টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নেপাল গেল সৈয়দপুরের দল

আকাশ মণ্ডল থেকে ইরফান, তদন্তে জানা গেলো আসল পরিচয়

আকাশ মণ্ডল থেকে ইরফান, তদন্তে জানা গেলো আসল পরিচয়

পর্তুগালে জাসাসের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

পর্তুগালে জাসাসের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করলেন রুশ বিমান প্রধান

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করলেন রুশ বিমান প্রধান

প্রকাশ্যে এলো হানি-বাদশার দ্বন্দ্ব, গুরুতর অভিযোগ হানির

প্রকাশ্যে এলো হানি-বাদশার দ্বন্দ্ব, গুরুতর অভিযোগ হানির

বন্ধ হয়ে গেলো গাজার শেষ হাসপাতালটিও

বন্ধ হয়ে গেলো গাজার শেষ হাসপাতালটিও

মনমোহন সিংহ,ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া এক সাহসী ও দৃঢ় সংকল্পের নেতা

মনমোহন সিংহ,ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া এক সাহসী ও দৃঢ় সংকল্পের নেতা

জনগণের অংশগ্রহণেই নির্ধারিত হবে আমরা আসলে কী চাই : জোনায়েদ সাকি

জনগণের অংশগ্রহণেই নির্ধারিত হবে আমরা আসলে কী চাই : জোনায়েদ সাকি

নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট ‘নির্বাহী কমিটি’ ঘোষণা

নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট ‘নির্বাহী কমিটি’ ঘোষণা

সচিবালয়ের কাগজ ভেবে দুটি ট্রাক আটকালো জনতা

সচিবালয়ের কাগজ ভেবে দুটি ট্রাক আটকালো জনতা

মাত্র সাত মাসেই হাফেজ হলেন ১০ বছরের আব্দুল্লাহ

মাত্র সাত মাসেই হাফেজ হলেন ১০ বছরের আব্দুল্লাহ

সিরিয়ায় আসাদের পতন, ঘরে ফিরছে ৩০ হাজার শরণার্থী

সিরিয়ায় আসাদের পতন, ঘরে ফিরছে ৩০ হাজার শরণার্থী

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত

ভুল তথ্যে চায়ের দোকানে ফায়ার সার্ভিস, অথচ পানের বরজ পুড়ে ছাই

ভুল তথ্যে চায়ের দোকানে ফায়ার সার্ভিস, অথচ পানের বরজ পুড়ে ছাই

আবারো উত্তপ্ত মণিপুরের দুই গ্রাম, সংঘর্ষে নিহত ১

আবারো উত্তপ্ত মণিপুরের দুই গ্রাম, সংঘর্ষে নিহত ১