নির্বাচনে সহিংসতা করলে বিরোধীদলও ভিসা পাবে না : ডোনাল্ড লু
২৫ মে ২০২৩, ১১:২৪ এএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ১১:২৪ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদলের কেউ যদি সহিংসতা বা ভোটারদের ভয় দেখায় তবে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না।’
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণার মধ্যেই দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে এমন বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশিদের কীভাবে এই নীতির আওতায় আনা হবে- জানতে চাইলে লু বলেন, ‘এই নীতি সরকার ও বিরোধী দল সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, সামনের নির্বাচনে যদি আমরা দেখি যে বিরোধীদলের কেউ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন বা ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন, তাহলে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘একইভাবে যদি আমরা দেখি যে সরকারের বা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কেউ যদি ভোটারদের ভয় দেখায় অথবা সহিংসতায় জড়ায় অথবা বাক স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে, তবে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
জড়িত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে লু বলেন, ‘নতুন এই নীতি ও যে আইনের ওপর ভিত্তি করে এটি নেওয়া হয়েছে, উভয় জায়গাতেই এই বিষয়টি খুব স্পষ্ট। অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানরা এই নীতিতে ভিসা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হবেন।’
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি কীভাবে জানানো হবে- জানতে চাইলে লু বলেন, ‘যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হবে এমন সবাইকেই আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তৎক্ষণাৎ জানানো হবে।’
গত ১৪ মে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা কমিয়ে আনার ঘটনার জেরেই কী এই নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে লু বলেন, ‘বিষয়টি একেবারেই এরকম না। গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে যখন নতুন এই নীতির বিষয়ে অবহিত করা হয়। তখন আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। সুতরাং নতুন এই নীতি ও এর ঘোষণা কোনোভাবেই সরকারের ১৪ মে’র ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনো প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় না এবং নেবে না।’
বাংলাদেশের নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বাংলাদেশের বিশেষ স্থান রয়েছে। এই দুই দেশের মানুষে-মানুষে, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোম্পানি পর্যায়ে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে চেষ্টা করি যা বাইডেন–হ্যারিস প্রশাসনের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র রয়েছে যে কারণেই এখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার।’
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশ সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সংকল্প থাকতে হবে: আলী রীয়াজ
শীতবস্ত্র করুণা নয়, তারেক রহমানের উপহার
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প সোলার সিস্টেম চালু করুন
দীর্ঘদিন পর প্রিয় দেশে ফেরার ঘোষণায় খুশির জোয়ারে ভাসছে মুরাদনগরবাসী
ঢাবি ও বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে ৮ম নন-ফিকশন বইমেলা শুরু আগামীকাল
মঠবাড়িয়ায় মালয়শিয়া প্রবাসীর ঘরে ডাকাতি, বৃদ্ধাসহ ৩ নারী আহত
টুইটার থেকে এক্স ,ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নতুন যুগ
বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ট্রাক ও ধানসহ নকলার মাদক কারবারিকে ফুলপুরে আটক
বিপিএলে অনিশ্চিত সাকিব নাম লেখালেন পিএসএলে
আলফাডাঙ্গায় চলছে হালি পেঁয়াজ লাগানোর মহোৎসব, শ্রমিকের অভাবে বাড়ছে চাষির খরচ
শ্রীনগরে পুকুর থেকে ভাসমান বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কলকাতায় দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা চিন্ময়ের আইনজীবী এবার জাতিসংঘে যাওয়ার হুমকি দিলেন
রোববার হারিছ চৌধুরীর পুনর্দাফন
চলছে বিক্ষোভ, তারেক রহমানকে স্মারকলিপি, জবির অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবাদ
চীনে তৈরি হবে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ
কোহলির আরও বড় শাস্তি প্রাপ্য ছিল: পন্টিং
বান্দরবানে আগুন দিয়ে ১৭ ঘর পুড়ে দেয়ার সাথে জড়িত দের ছাড় দেয়া হবে না- পার্বত্য উপদেষ্টা
জাহাজ সেভেন মার্ডারের খুনি ধর্মান্তরিত ইরফানের অজানা কাহিনী
খুলনার তাবলীগ মসজিদ এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল
দেশে কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? জামায়াত আমীরের প্রশ্ন