চলছে বিক্ষোভ, তারেক রহমানকে স্মারকলিপি, জবির অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবাদ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ, গেটলক কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি পালনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পদবঞ্চিত নেতাদের কর্মকান্ডে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অন্যান্য ছাত্রসংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে পদবঞ্চিত ২৬ নেতাকর্মীর নাম সম্বলিত এই স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এসময় তারা পদবঞ্চিত সকলকে যথাযথ মূল্যায়ন করে দ্রুত নতুন কমিটি গঠনের দাবিও জানান। অন্যদিকে ক্যাম্পাস অবরোধ ও বিক্ষোভ করেই যাচ্ছে পদবঞ্চিত নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর থেকেই রাজপথের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছি।গত কমিটিতে আমাদের যোগ্যতার মূল্যায়ন হলেও, নবগঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিতে ২০১৩-১৪ সেশনকে পদপঞ্চিত করে বৈষম্যমূলক কমিটি প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য আহ্বায়ক কমিটিতে ২০০৮-৯ সেশন থেকে ২০২০-২১ সেশন পর্যন্ত অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। আমরা মনে করি আহ্বায়ক কমিটিতে (২০১৩-১৪ সেশন) সংযুক্তি না করে আমাদেরকে ছাত্র রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে ক্যম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীদের দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামের ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করা হয়েছে। অনিয়মিত ও নিজস্ব পছন্দের লোকদের দিয়ে ইউনিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সর্বাধিক কারাবরণকারী নেতাদের রাজনীতি থেকে মাইনাস করার একটি পায়তারা হিসেবে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহবায়ক ও বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে ২৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শাখা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত কয়েকটি গ্রুপ। তারপর থেকে তারা প্রতিদিন ক্যাম্পাসের সামনে সতর্ক অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের জায়গায় নতুন কোন সন্ত্রাসী শক্তির অপতৎপরতা রুখতে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানায় তারা।বিজ্ঞপ্তিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্রলীগের জায়গায় নতুন কোন সন্ত্রাসী শক্তি যেন জায়গা করতে না পারে তার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এছাড়াও গতবুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদ শাখার সভাপতি একে এম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি আমরা লক্ষ করেছি যে, জবি শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো ক্যাম্পাসের জন্য উদ্বেগজনক। অথচ আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের জন্য নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশ নিশ্চিত করা। আমরা বিশ্বাস করি, বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সবসময় বেশি অগ্রাধিকার পাবে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন। ফারুক হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ক্যাম্পাস কি তগো বাপের সম্পত্তি নাকি যে গেটলক করে কর্মসূচি দিতাছস? ওমর ফারুক নামের আরেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ক্যাম্পাস কোন নিদিষ্ট দলের না বা কারও বাপের না। ক্ষমতার দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট আটকানে কোন ধরনের আচরণ? দলীয় ব্যাপার আপনাদের দলীয় কার্যালয় আটকান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকান কোন যুক্তিতে?
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই হতাহতের বিচার আদৌ হবে কিনা সংশয় স্বজনের মধ্যে
হরিণাকুন্ডুতে যুবদল সভাপতির উপর গুলি অল্পের জন্য রক্ষা
সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা : যুব সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেই সুখরঞ্জন বালির ভারতে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন শাস্তি হলে হাসিনার সুযোগ নেই :অ্যাটর্নি জেনারেল
থার্টি ফাস্ট নাইট নিষিদ্ধ করতে হবে আইন করে :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন
সংস্কারের সঙ্গেই নির্বাচন প্রস্তুতি
‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প সোলার সিস্টেম চালু করুন’
আসিফ মাহমুদের হেলিকপ্টারে ছয় দিনে ২৮ বার সফর বিতর্ক
বন্ধ রয়েছে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৩
নববর্ষ উদযাপনে ৭ বছরে শব্দদূষণ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ
হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর পরই সচিবালয়ে আগুন : রিজভী
হাসিনার ফ্যাসিজম নিয়ে সস্তা কথা টিকবে না : শফিকুল আলম
চাঁদপুর মেঘনায় ড্রেজারসহ ২৮ জন আটক
ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল অভিষিক্ত বশ,চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ বছরের অভিনেতার অকাল প্রয়াণে হলিউডে শোকের ছায়া