সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে : সাকি
২৬ মে ২০২৩, ০৭:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর একত্রে এসে দাঁড়ানোটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত বিএনপি যদি এখানে এসে একসঙ্গে না দাঁড়াতে পারে তাহলে সবাইকেই ডুবতে হবে। দেশকে আমরা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিতে পারি না। সংগ্রামের মধ্য দিয়েই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে। দেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রাম ও লড়াই করেই আদায় করতে হবে, কেউ বা কোনও বিদেশি শক্তি এসে তা উদ্ধার করবে না।
শুক্রবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত রাজনৈতিক সংকট ও রাষ্ট্রের গতিপথ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের দেশ ও জনগণ একটি গভীর সংকটে রয়েছে। দেশের ক্ষমতায় এমন একটি সরকার রয়েছে যারা গদি রক্ষার স্বার্থে দেশকে নিলামে তুলতে চায়। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করেছে তার পরিণতি হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তি। দেশে এখন ঠিকঠাক নির্বাচন হয় না বরং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এর কিন্তু একটা রাজনৈতিক পরিণতি আছে।
তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের স্বার্থ অনুযায়ী আর পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করছে না। তারা পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করছে নিজের গদি রক্ষার জন্য। ফলে দেশ সার্বভৌমত্বের দিক থেকে একটা সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ছে। সরকার নিজের দেশের জনগণকে বিভক্ত করে ফেলেছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, একটা সরকার যদি রাষ্ট্রকে নিজের দল বানিয়ে ফেলে এবং সে দলে যদি একজন ব্যক্তিই অপরিহার্য হয়ে ওঠে, তাহলে সেটা আর রাষ্ট্র থাকে না। একটা রাষ্ট্রে নানান মতবাদ থাকবে। বিরোধ থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখা হচ্ছে সরকারের কাজ। সেটা না করতে পারলে জাতিগোষ্ঠী বিভক্ত হতে থাকে। ফলে সৃষ্টি হয় অরাজকতা।
এই বামপন্থি রাজনীতিক বলেন, এখন দেশ কী নৈরাজ্যের দিকে যাবে, নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান থাকবে... সেটা নির্ভর করছে আমরা বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো বদলাতে পারব কি না তার ওপর। বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোই রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে এর গতিপথ বদলাতে হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান
ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা
মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ
কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত