আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে রাষ্ট্র ও নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যত্যয় ঘটলে কড়া জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, এদিন রাজনৈতিক দলগুলো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

, সারাদেশে বিসর্জনে র‍্যাব বিশেষ নিরাপত্তা দেবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু করা হবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজও করবে র‍্যাব।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, রাজনৈতিক দল তাদের সমাবেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখবো। সেই সঙ্গে কেউ যাতে জনগণের সম্পত্তি যাতে বিনষ্ট না করতে পারে, সেটাও দেখবো।

প্রতিটি বিসর্জনসহ এখনও যতটুকু সময় আছে এ সময়ে সারাদেশে স্পেশাল নিরাপত্তা প্রয়োজন হলে র‍্যাব দেবে।

তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর থেকে র‍্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজা মণ্ডপে ৪ হাজারের বেশি সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। র‍্যাবের স্পেশাল বাহিনী, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যোগ করেন মঈন।

র‍্যাব কর্মকর্তা খন্দকার মঈন বলেন, দুর্গাপূজায় এখন পর্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাব। দেশের প্রতিটি এলাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাটালিয়নের ইউনিট প্রধানরা পূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের সাইবার ইউনিট কাজ করছে।

এখন পর্যন্ত জঙ্গি বা নাশকতার হামলা নেই জানিয়ে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপতৎপরতারোধে কাজ চলছে। নারী দর্শনার্থীরা ইভটিজিং কিংবা হেনস্তার শিকার না হয় সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি চলমান।