সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ঢাকা, ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস
০১ নভেম্বর ২০২৩, ০১:২৩ পিএম | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০১:২৩ পিএম
বিএনপি-জামায়াতের তিনদিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা থেকে কোন দূর পাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। আবার বাইরে থেকেও ঢাকায় আসছে না কোন বাস। সদর ঘাট থেকেও ছেড়ে যায় নি কোন লঞ্চ। লঞ্চ মালিকরা বলছেন যাত্রীর অভাবে তারা লঞ্চ ছাড়তে পারছেন না। সব মিলিয়ে বলা যায় প্রথম দিনের মত আজ দ্বিতীয় দিনও রাজধানী ঢাকা কার্যত সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাজধানীর অভ্যন্তরে গণপরিবহনের সংখ্যাও খুবই কম। সামান্য যে কটি বাস চলছে তাতেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম
রাজধানীর গাবতলী এলাকার পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কোনো পিকেটিং চোখে পড়েনি। তবে পাহারা বসিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গাবতলী এলাকায় সার্বিক শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে ফজর থেকে রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও মোটর শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী কম দেখা গেছে। এ কারণে ছাড়ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস।
মঙ্গলবার গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানও নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান করছেন গাবতলী এলাকায়।
গাবতলী এলাকায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসন খান নিখিল মিছিল নিয়ে শো ডাউন দিচ্ছেন। এছাড়া ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিও নেতাকর্মীদের চাঙা করতে গাবতলী এলাকায় এসেছেন। বলা যায় পুরো গাবতলী এলাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে।
এদিকে, যাত্রীর অপেক্ষায় শত শত বাস রাখা রয়েছে। ছাড়ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস। ঢাকা-ঝিনাইদহ-মেহেরপুরগামী এসডি পরিবহনের কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি সকাল থেকে। অথচ চারটি ট্রিপ ছেড়ে যাওয়ার কথা। এসডি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুল করিম বলেন, বাস আছে, যাত্রী নেই। ফলে বাস ছাড়তে পারি না। যাত্রী না থাকলে কীভাবে বাস ছাড়বো। সকাল থেকে চারটি বাস ছাড়ার কথা একটাও ছাড়তে পারি নাই। কাউন্টারের পাশেই বাস ডিপো। শত শত বাস অলস পড়ে আছে। সব বাসে কর্মরত মোটর শ্রমিকদের মধ্যে শঙ্কার ছাপ।
এক মোটর শ্রমিক বলেন, ভাই বাসের চাকা ঘুরলে বেতন না ঘুরলে নাই। সেই ২৮ অক্টোবর থেকে বসে আছি এক টাকা আয় নাই অথচ দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ। আমরা চলবো কি করে। কাউন্টারের কর্মীরা জানান, সকাল থেকে কাউন্টার বন্ধ রাখতে হয়েছিল। অবরোধ কর্মসূচির কারণে যাত্রী আসেনি। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঢাকার ভেতরেও যানবাহন কম।
গাবতলির মতো মহাখালি এবং সায়দাবাদ বাস টার্মিনালেরও একই অবস্থা। টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রী নেই বলে বাস ছাড়তে পারছে না বলে বাসে কর্মরত শ্রমিকরা বলছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান