সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখছে: ১২ দলীয় জোট

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে মহা হামলা করার নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে বিজয় চত্বর থেকে সামনে বিএনপি ঘোষিত ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের অবরোধের সমর্থনে ২য় দিনের বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এই মন্তব্য করেন।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, মিথ্যাচার করে ধরা খেয়ে সরকারের লেজে গোবরে অবস্থা। বিদেশী চাপ সামলাতে দিশেহারা অবস্থা সরকারের! বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন পানসে হয়ে গেছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে সে নির্বাচন ছেলে খেলা গণ্য হবে। দেশে বিদেশে কারো কাছেই সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে না। তাই সরকার বিএনপিকে "মাইনাস তারেক" করে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে এখন চোখে সর্ষেফুল দেখছে।

 

১২ দলীয় জোটের বক্তারা বলেন, রাজনীতি করা যদি চরিত্রহীনতা হয় তাহলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নির্লজ্জ বেহায়া ও চরিত্রহীনতার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ১৫ বছর ক্ষমতাসীন থেকেও পারেনি জনগণের মন জয় করতে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচার জন্য একের পর এক নোংরামি করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার উপায় খুঁজছে। নিজেরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ হত্যা করে বিএনপির উপর দায় চাপিয়ে সেই উছিলায় ২৮ তারিখের মহাসমাবেশে মহা হামলা করে পূর্ব ঘোষিত ও পুলিশের অনুমোদন প্রাপ্ত মহাসমাবেশটি ভন্ডুল করে দিয়েছে! এই ন্যাক্কারজনক কাজটি আওয়ামী লীগের পূর্ব পরিকল্পিত এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য তারা আগে থেকে মহড়া দিয়ে ঘটনার দিন নাটক মঞ্চস্থ করেছে!

 

তারা আরও বলেন, বিরোধী দলের সবাইকে মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগ দিয়ে জেলখানা ভরে রেখে একা একা নির্বাচন করার খেলা দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবেনা বিধায় অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন দেখানোর উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাদের এবং বিএনপি পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের ভয়ভীতি ও লোভ লালসা দেখিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসার অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে! তারা দেশ ও জনগণের সেবা ও কল্যাণে মনোযোগ না দিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি শেয়ার বাজার, বাজার সিন্ডিকেট এবং ব্যাংক লুটপাটকরে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, বেগম পল্লী বানিয়েছে, ভবিষ্যতে দেশ ছেড়ে পালাতে হলে সুখে শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। জনমত এখন সম্পূর্ণ সরকারের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় বিএনপির একটি বড় অংশকে ভাগিয়ে এনে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

 

বক্তারা বলেন, সরকার যাই করুক রক্ষা পাবে না। দিন শেষ হয়ে এসেছে। হয় একদফা দাবি মেনে নিয়ে সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়ে সমঝোতায় আসার শেষ সুযোগ গ্রহণ করতে হবে নতুবা দেশ ছেড়ে পালানো উপায় খুঁজতে হবে। এই জালিয়াতির জালিম সরকারের সামনে তূতীয় কোন পথ খোলা নেই।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, আতাউর রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন  - ডা. মাজহার

সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন - ডা. মাজহার

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম

রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম

আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম

আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম

টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা

ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ

ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা

ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা

ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া

ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া

মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা

মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা

খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা

খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ

ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!

ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!

আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি

আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি

সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১

সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১

দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই

দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই

ফ্যাসিস্টরা জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতো: প্রেস সচিব

ফ্যাসিস্টরা জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতো: প্রেস সচিব