রাজধানীতে সারাদিন বৃষ্টি খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি
১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৭ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৭ এএম
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে রাস্তায় অফিসগামী মানুষের ভিড় ছিল না। তবে জরুরি কাজে বাধ্য হয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেকে রাস্তায় বের হয়েছেন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের বাধ্য হয়েই কাজে বের হতে হয়েছে। এসব কেটে খাওয়া দিন মজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক কাজে বের হয়ে টানা বৃষ্টি আর বাতাসে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বৃষ্টিতে সব চেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীর রিকশাচালকরা। সংসারে স্ত্রী ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে রোজগারের আশায় বৃষ্টিতে ভিজেই রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামেন তারা। রিকশাচালক ছালাম মিয়া বলেন, আমরা গরীব মানুষ, একদিন রিকশা না চালাইলে খাওন জুটবো না। বৃষ্টিতে ঘরে বইসা থাকলে আমাগো চলবো না। বয়স হইছে বৃষ্টি আবার তার সাথে বাতাস। কিছুক্ষণ ভিজলেই শীত শীত লাগে। এভাবে রিকশা চালাইতে কষ্ট হয়। কি আর করা সংসার চালাইতে অইলে কাজ তো করাই লাগবো। ঘরে পাঁচজনের সংসার। কামাই না করলেতো দুই বেলা খাওন জুটবো না।
ভ্যানে করে মহল্লায় ঘুরে তরকারি বিক্রি করেন জাহেদ আলী। সারা শরীর পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে তরকারি বোঝাই ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। বৃষ্টি আর বাতাসের ঝাপটার মধ্যেই গলিতে গলিতে গিয়ে ডাকছেন, তরকারি নিবেন, শিম বেগুন, পটল...। তবে এই বৃষ্টির মধ্যে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ জন্য অলি-গলিতে লোক চলাচল খুব কম। জাহেদ আলী বলেন, এই বৃষ্টিতে ভিজেও আমাদের কাজ করণ লাগবো। তা ছাড়াতো সংসার চলবো না। বৃষ্টির মধ্যে বের অইছি আল্লার নাম নিয়া। তয় রাস্তায় লোক নাই। কস্টমার খুবই কম।
ছুটির দিন হওয়াতে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এসব চাকুরী প্রার্থীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ফারহানা যুতি বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি। বাসা থেকে বের হওয়াটাই ঝামেলা। তারপরও বের হয়েছি। পরীক্ষা তো দিতে হবে। পরীক্ষা শেষে বের হয়েও দেখি বৃষ্টি। এখন ভিজেই বাসায় যেতে হবে।
বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার মোড়ে রেল লাইনের পাশে চায়ের দোকানগুলো ছিল খোলা। শ্রমজীবিরা অনেকেই এসব দোকানে ভিড় করছেন। চা দোকানদার আকবর হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেও চায়ের দোকান খোলা রাখতে হয়। অনেকেই চা খেতে আসে। বড় ছাতা টানায়ে নিছি। বৃষ্টিতে দোকান চালাতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে কাস্টমার কম। বৃষ্টির মধ্যে লোকজন তো ঘর থেকেই বাহির হয়না। যারা কাজ-কামে বের অইছে তারা অনেকে আসে চা খাইতে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার