ক্ষমতাসীনদের লোকজন আগুন দেয়ার সময় ধরা পড়লেও ছেড়ে দেয়া হয় : রিজভী
২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম
বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে বাসে আগুন দেয়ার প্রসঙ্গে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) লোকজনও ধরা পড়ছে। কিন্তু তাদের ছেড়ে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে এনে দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে উদোর পি-ি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার সকাল ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশজুড়ে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নির্বিচারে। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) লোকজনও ধরা পড়ছে। কিন্তু তাদের ছেড়ে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে এনে দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে উদোর পি-ি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়া এখন নাগরিক দায়িত্ব। সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এই দেশে অতীতের ইতিহাসে দেখা গেছে, এখানে জুলুমকারী ও অন্যায়কারী বেশি দিন থাকতে পারে না।
রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে, সাহসিকতার সঙ্গে এবং দৃঢ় প্রত্যয়ে ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচিকে সাফল্যম-িত করছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা রাস্তায় আছেন, দাঁড়াচ্ছেন এত প্রতিকূলতা এবং এত জুলুম নির্যাতন, একদিকে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অন্যদিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা রাজপথে যেভাবে নেমেছেন। এটি একটি সাহস ও বীরত্বব্যঞ্জক ঘটনা। আর এই নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও বিজয় রথ ইনশাল্লাহ একদিন লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাবে, এই প্রত্যাশা আমি করছি।
তিনি আরো বলেন, সাহসের ওপর ভর করে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসার আদর্শগত লড়াইয়ে তারা আছেন। তারা কোনো ভোগ-বিলাস, তারা কোনো অর্থ-কড়ির জন্য এই কর্মসূচি করছে না। তারা কর্মসূচি করছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের ৪১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ১০০ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৯২০ জনকে।
হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ প-ের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দেয় বিএনপি এবং ১৯ ও ২০ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়। তবে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে আবার বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছিল বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলগুলো।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন