আজ প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন
১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৯ এএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৯ এএম
আজ ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের ৭৩তম জন্মদিন। দিনটি ঘিরে পাবনার বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আর্দশ, একাগ্রতা, সততা, নিষ্ঠা, শ্রম, বলিষ্ঠতা, মেধা ও শৃঙ্খলা একজন মানুষকে যে কত উপরে নিয়ে যেতে পারে তার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শরফুদ্দিন আনছারী এবং মাতার নাম খায়রুন্নেসা। তিনি পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধি বালক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করার পর পাবনার ঐতিহ্যবাহী সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২সালে) বিএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহিদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৭০ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭২ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন সাহাবুদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এরপর পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়ে সাহাবুদ্দিন আইন পেশায় যোগ দেন এবং ১৯৮২ সাল পর্যন্ত এই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন মো. সাহাবুদ্দিন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সেসব ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন হয়, যার প্রধান ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন।
পেশাগত জীবনে প্রথম দিকে সাংবাদিকতাও করেছেন সাহাবুদ্দিন। তিনি পাবনা প্রেসক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য।
মো. সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের যুগ্মসচিব হিসেবে ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিচালক হিসেবে কর্মরত। মো. আরশাদ আদনান তাঁদের একমাত্র সন্তান। তাঁর দুই জমজ নাতি তাহসিন মো. আদনান ও তাহমিদ মো. আদনান এ-লেভেলে পড়াশোনা করছে। ভ্রমণ করা, বই পড়া ও গান শোনা মো. সাহাবুদ্দিনের প্রিয় শখ।
AD
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জমির শ্রেণি পরিবর্তন করলে সে জমি খাস হিসেবে রূপান্তর করা হবে : ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন
গণঅভ্যুত্থানের শুধু ঘোষণাপত্র নয়, ১৬ বছরের আন্দোলনের স্বীকৃতি চায় ১২ দলীয় জোট
কর না কমালে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট দেয়া সম্ভব হবে না : মন্তব্য খাত সংশ্লিষ্টদের
জমির শ্রেণি পরিবর্তন করলে সে জমি খাস হিসেবে রূপান্তর করা হবে : ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন
মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জা আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের হোতা
কলাপাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওয়েল্ডিং ফোরম্যানের রহস্যজনক মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের হৈচৈ নিষেধ করায় আটঘরিয়া কলেজ শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ
বগুড়ায় সড়কে কিশোর বাইক চালকের মৃত্যু
যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স আর খোলা হবে না : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা
এখানে কেউ ছোট-বড় নই, সবাই আমরা সমান :-ডা.একেএম মাহবুবুর রহমান
মৌলভীবাজাররে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
টঙ্গীতে কারখানার ঝুট নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন
১৯ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে নামছে উইন্ডিজ
মির্জাপুরে নদী তীর কেটে মাটি লুট দুই কারবারির লাখ টাকা জরিমানা
‘‘এই বাংলাদেশে হয় আওয়ামীলীগ থাকবে না হয় আমরা থাকব’’ : হাসনাত আব্দুল্লাহ
পীরগঞ্জে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির শীর্ষক সেমিনার ও প্রদশর্নী
নাহিদকে নিজের দলে নিতে চেয়েছিলেন ইফতিখার
নানা ভাবে পূনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামীলীগ
ঈশ্বরগঞ্জে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ