জমি না দেওয়ায় শিশু স্বাধীনকে হত্যা করা হয়
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২০ এএম | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২০ এএম
না’গঞ্জের রূপগঞ্জের বালু নদী থেকে গত ৪ ডিসেম্বর উদ্ধার হওয়া লাশটি ৯ বছরের শিশু ওসমান গণি স্বাধীনের। শিশুটির পিতা রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর রহমান শাহিন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে শাহিন, তার স্ত্রীসহ স্বজনেরা অভিযোগ করেন, জমি না দেওয়ায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম স্বাধীনকে হত্যা করেন।
লিখিত বক্তব্যে শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্বাধীন কায়েকপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয় তার পুত্র স্বাধীন। গত ৪ ডিসেম্বর নৌ-পুলিশ সদস্যারা তার লাশ উদ্ধার করে। তার অবুঝ সন্তানের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে রফিকুল ইসলাম রফিককের নির্দেশে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দেয়। থানায় গিয়ে ওই প্রভাবশালী রফিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি। পুলিশ তার নামে মামলা না দিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করার পরামর্শ দেয়। অবুঝ সন্তানের হত্যাকারী কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় সন্তানকে কবর দেওয়ার পরও বাড়িতে থাকতে পারি না। তার লোকজন হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বললে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বাড়িতে পাহারা বসিয়েছে, জীবন বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে স্বপরিবারে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাড়ী লিখে না দেওয়ায় তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ গত ২ মাস আগে আমাদের বাড়ি নামমাত্র দামে কিনতে রফিক তার বোনকে পাঠায়। তার সঙ্গে আরেকজন মহিলাও ছিল। ৩৭ শতাংশের বাড়িটি রফিকুল ইসলাম কিনতে চায় বলে জানালে বাড়ী বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও চাঁদাবাজি। এর ২ মাস আগে একাধিকবার বাড়িতে হামলা চালায় তারা। এক সপ্তাহ আগে রফিকুলের ভাই মিজানুর রহমান বাড়ীতে এসে সবাইকে উচিত শিক্ষা দেবে বলে হুমকি দেয়। রফিকের ক্যাডার ফারুক পিস্তল দেখিয়ে বলে এমন মার মারবো, কবরে গিয়েও শান্তি পাবি না। স্বিাধীনের লাশ যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে, তার জন্য পুরো মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল এবং তার পুরো শরীর এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে। যে দিন শিশুপুত্র স্বাধীন নিখোঁজ হয় ওই দিন রাত ৮টার দিকে তার সন্ধান চেয়ে মাইকিং শুরু করলে রফিকের লোকজন বাধা দেয়। অথচ যেদিন স্বাধীন নিখোঁজ হয়েছিল সেদিনই তাকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ছেলের লাশ বাড়ীতে আনার পর দেখেন রফিকের লোকজন হুজুর নিয়ে অপেক্ষা করছে। রফিকের নির্দেশে পরিবারের অনুমতি না নিয়েই রাতের অন্ধকারে স্বাধীনের লাশ কবর দেয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কেন চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি ফারিয়া?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধুর মৃত্যু
তাপমাত্রা কমে বাড়বে শীত
এলএন-এর বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, কলম্বিয়ায় শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত
ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি হলেন ইউসুফ হোসেন
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে পড়েছিল মোটরসাইকেল আরোহীর চূর্ণ-বিচূর্ণ লাশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদরাই আজকের বাংলাদেশ- কক্সবাজারে শিল্প উপদেষ্টা
অতিরিক্ত সময়ে এন্দ্রিকের জোড়া গোলে জিতে শেষ আটে রিয়াল
গ্রিক সাইপ্রিয়ট প্রশাসনকে অস্ত্র বিক্রয়ের মার্কিন সিদ্ধান্তে টিআরএনসি-এর ক্ষোভ ও উদ্বেগ
নরসিংদীতে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ৮
পাবনায় জনজীবনে ভয়াবহ হচ্ছে ভার্চুয়াল আসক্তি
মাঝ আকাশে ভেঙে টুকরো ইলন মাস্কের ‘স্টারশিপ’
বাংলাদেশ-ভারতকে অতীত কবর দিয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে: সুনন্দা কে দত্ত রায়
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
সাইফ ইস্যুতে কেজরিওয়ালের বিস্ফোরক মন্তব্য, পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতার
ট্রাম্পের শুল্ক ছাড়াও চীনের অর্থনৈতিক সংকটে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ !
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
দিয়ালোর দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ইউনাইটেডের নাটকীয় জয়
আজারবাইজান-জর্জিয়া সম্পর্ক শক্তিশালীকরণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
আসাদগেটে সিএনজি-ট্রাক সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু