দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (শরীয়তপুর-১ আসন) ইকবাল হোসেন অপু এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলে সে হিন্দু হোক আর মুসলমান হোক যে হিন্দু ধর্মের উপাসনা করে তার উপাসনা কাজে লাগবে না। যে মুসলমান সে নামাজ পড়ুক, তার নামাজ কাজে লাগবে না। আর এটাই সত্য। গত বুধবার সদর উপজেলার গঙ্গানগর এলাকায় এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেয়া সবার ঈমানী দায়িত্ব। যে ঈমানী দায়িত্ব পালন করবে না সে মানুষ হতে পারে না, মোনাফেক।

নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। অনেকবার তাকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য। তিনি সবেমাত্র হাসি ফোটানো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাকে তা করতে দেয়নি। জিয়াউর রহমানরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারসহ বঙ্গবন্ধুকে নির্মম্ভাবে হত্যা করলো। তারপরেই বাংলাদেশ পিছিয়ে গেল। সেই বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এখন ঘরে ঘরে মানুষকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। এই শরীয়তপুরের প্রতিটি মানুষের, নারী হোক, পুরুষ হোক, শিশু হোক আর বৃদ্ধ হোক প্রতিটি মানুষের ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া উচিত। এটা সবার ঈমানী দায়িত্ব। যে ঈমানী দায়িত্ব পালন করবে না সে মানুষ না, সে মানুষ হতে পারে না। কারণ কৃতজ্ঞতা যারা প্রকাশ করেনা, সে হিন্দু হোক আর মুসলমান হোক। যে হিন্দু ধর্মে উপাসনা করে তার উপাসনা কাজে লাগবে না। যে মুসলমান সে নামাজ পড়ুক তা নামাজ কাজে লাগবে না। আর এটাই সত্য।

ইকবাল হোসেন অপু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমরা বৃদ্ধ ভাতা পেয়েছি, যার ঘর ছিল না ঘর পেয়েছে। তার জন্য কি আমাদেরকে কৃতজ্ঞতা করা উচিত নাকি উচিত না? আমাদের শপথ করা উচিত যে পরিবার ও প্রতিবেশীদের নিয়ে সাথে ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাব। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যদি ভোট না দেই তাহলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হলো না। তখন আমি মোনাফেক হলাম। এখন মোনাফিক হয়ে মরবেন নাকি ঈমানদার হয়ে মরবেন প্রশ্ন আপনাদের কাছে রাখলাম। তিনি আরো বলেন, ৭ তারিখে যদি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করি তাহলে আমরা মানুষ না। তাই সেদিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কিছুটা হলেও শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অবদান উল্লেখ করে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, এই আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ ভাষা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র এনে দিয়েছে, দুই বছর করোনা ছিল, সারা পৃথিবী স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ‘এ আওয়ামী লীগ, এ ছাত্রলীগ, এ যুবলীগ, হে কৃষকলীগ তোমরা ঘরে থাকবা না আমার একটিও মানুষ যেন অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় যাতে মৃত্যুবরণ না করে। এই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজ নিয়েছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, চাষী ভাইদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর উওর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী এ সভার আয়োজন করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আকবর মুন্সি। ##