জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় সরকার : গণতন্ত্র মঞ্চ
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ এই আহবান নিয়ে আজ ৩ জানুয়ারী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটায় ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পরে গণতন্ত্র মঞ্চ একটি মিছিল সহযোগে গ্রিন রোড, সাইন্সল্যাবরোটারি মোড়, হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করে শেষ হয়।
গণসংযোগপূর্ব এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন । সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান ।
সমাবেশ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আওয়ামীলীগ শব্দ সন্ত্রাশ দিয়ে সমাবেশ পন্ড করার পাঁয়তারা শুরু করে। সমাবেশের ঠিক পাশেই নির্বাচনী প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে সামাবেশের কাজ বাধাগ্রস্থ করে এবং আশেপাশে সন্ত্রাসী বাহিনী জমায়েত করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয় প্রচার মিছিল শুরু হলে ট্রাকের উপরে রাখা লাউড স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে প্রচার মিছিলের পিছু নেয় এবং বাধাগ্রহস্থ করার চেষ্টা করা হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের শব্দ সন্ত্রাস দিয়ে কাজ হবে না। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। ভোট কেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে তাদের সহযোগী দলে ঢুকিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা না পেয়ে গণহারে সরে যাচ্ছে সাজানো নির্বাচন থেকে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. ইউনুসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তরিঘরি করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য। সরকার আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তরিঘরি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে। এই ফাঁদে একসময় আওয়ামী লীগকেও পরতে হবে বলে স্মরণ করিয়ে দেন নেতৃবৃন্দ।
আগামী কর্মসূচি: ৪ জানুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে
সমাবেশ ও গণসংযোগ-মিছিল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসিকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে তৈরি আছি: হাছান মাহমুদ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে দলের কোনো নেতা-কর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে না : যুবদল সভাপতি
ঢাকা মেডিকেলের সিসিইউতে ভর্তি শাজাহান খান
আলোকচিত্রশিল্পী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মাশায়েখ মহাসম্মেলন কাল
ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০,০০০ কোটি টাকার রিটেইল ডিপোজিট মাইলফলক
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গবেষণায় জোর দিতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শ
ব্রাহ্মণপাড়ায় জেলেকে পিটিয়ে হত্যা
কুয়াকাটায় দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কলারোয়ায় হাজার হাজার ছাগলের মৃত্যু
হত্যা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর প্রতিবাদ
শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত ৯
লোহাগাড়ায় ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বন্দরগুলোর অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা
পঞ্চগড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
ধামরাইয়ে পুলিশ ক্যাম্পে ঝুলছে তালা
ভোগান্তির আরেক নাম আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
যশোরে বিএনপি নেতার আদালতে আত্মসমর্পণ
যশোর শহরজুড়ে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়