মুক্তি পেয়ে বিএনপির মহাসচিব যা বলছেন তা আত্মসম্মান রক্ষায় : নানক

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে বিএনপির মহাসচিবসহ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা এখন যে কথাগুলো বলছে, তা তাদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য। এখন বাগাড়ম্বর করছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর টাউনহলস্থ বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম ওয়াজেদ মিয়া›র ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাবন্দির বিকালে মুক্তি পান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীও মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজয় না আসা পর্যন্ত গণতন্ত্র ফেরানোর চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সবসময় সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।
বিএনপির নেতার এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা নানক বলেন, আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে বিএনপির মহাসচিবসহ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা এখন যে কথাগুলো বলছে, তা তাদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য। এখন বাগাড়ম্বর করছেন।

বিএনপির সমালেচনা করে নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই দেশে ২০১৪-১৫ সালে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, যে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে, হরতাল অবরোধ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করার চেস্টা করেছে, অবরোধের নামে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যহত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি অটুট ছিল, তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল আর ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই মির্জা ফখরুল, আমির খসরু সাহেব আপনারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন করতে পারেন নাই। এই ব্যর্থতার কারণে আপনাদের তওবা করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া উচিত। আর এদেশে যদি রাজনীতি করতে হয় তাহলে এই খুন, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার, এসব খুনের দায় স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভুলধারায় চলার কারণে নিশ্চিত একটি গহŸরে নিমজ্জিত হতে হয়, এ সত্যকে তারা স্বীকার করবে কিনা আমার জানা নাই। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যারা এভাবে অরাজনৈতিক হত্যাকাÐ, নির্যাতন-নিপীড়ন, সন্ত্রাস চালিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা করেছিলেন মাঝপথেই তাদের রাজনীতির রাজনৈতিকভাবে অপমৃত্যু ঘটেছে।

নানক বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যারা বিরাট বিরাট জনসভা করতেন সে দিন তারা ভেবেছিলেন এই জনগণ তাদের জনগণ কিন্তু আসলে সেই জনগণ ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, বঙ্গবন্ধু বিরোধী শক্তি। সেই দলগুলো এখন নামস্বর্বস্ব দলে পরিনত হয়েছে।

বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতিচারণ করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী নানক বলেন, বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবর্দা সচেস্ট ছিলেন। ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার মত সৎ, নির্লোভ একজন বিজ্ঞান-সাধক মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তিনি ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও কোনো সুযোগ সুবিধা নেননি। তিনি সর্বদা নিজস্ব বলয়ে থেকে নিজের যোগ্যতায় নিজ কর্মক্ষেত্রের পরিধিকে স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে কর্মজীবন শেষ করেছেন।

ড. মো: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে সায়াম উর রহমান সায়াম স্মৃতি কর্নার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। আলোচনা শেষে ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সিঙ্গাপুরে মাথাচাড়া করোনার! আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার

সিঙ্গাপুরে মাথাচাড়া করোনার! আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার

নগরকান্দায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

নগরকান্দায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

নালিতাবাড়ীতে আগুনে পুড়ে ভস্ম হলো এক বৃদ্ধা

নালিতাবাড়ীতে আগুনে পুড়ে ভস্ম হলো এক বৃদ্ধা

দেশের মানুষ কারো কাছে ভিক্ষা করে চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষ কারো কাছে ভিক্ষা করে চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

আরেকটি রক্তক্ষয়ী রাত দেখলো গাজাবাসী, এক সপ্তাহে বাস্তুচ্যুত ৯ লাখ মানুষ

আরেকটি রক্তক্ষয়ী রাত দেখলো গাজাবাসী, এক সপ্তাহে বাস্তুচ্যুত ৯ লাখ মানুষ

জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক হামলায় পর্যটক দম্পতি গুলিবিদ্ধ, নিহত ১

জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক হামলায় পর্যটক দম্পতি গুলিবিদ্ধ, নিহত ১

‘জংলি’ লুকে চমকে দিয়েছেন সিয়াম

‘জংলি’ লুকে চমকে দিয়েছেন সিয়াম

মোদির ভারতে মুসলিমরা নিজভূমে পরবাসী

মোদির ভারতে মুসলিমরা নিজভূমে পরবাসী

আবদুল গাফফার চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আবদুল গাফফার চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জাতীয় এসএমই পুরস্কার পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

জাতীয় এসএমই পুরস্কার পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ফের ফারিণের সঙ্গে গান করতে চান তাহসান!

ফের ফারিণের সঙ্গে গান করতে চান তাহসান!

অবশেষে জানা গেল ঐশ্বরিয়ার হাত ভাঙার কারণ

অবশেষে জানা গেল ঐশ্বরিয়ার হাত ভাঙার কারণ

যে কারণে এবারও ভোটে লড়লেন না প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

যে কারণে এবারও ভোটে লড়লেন না প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

কানের রেড কার্পেটে মুগ্ধতা ছড়ালেন কিয়ারা

কানের রেড কার্পেটে মুগ্ধতা ছড়ালেন কিয়ারা

চাঁদের মাটিতে ছুটবে রেলগাড়ি! রেলস্টেশন তৈরির কথা ভাবছে নাসা

চাঁদের মাটিতে ছুটবে রেলগাড়ি! রেলস্টেশন তৈরির কথা ভাবছে নাসা

সালথার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বহাল

সালথার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বহাল

দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘুমের প্রতিযোগিতা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘুমের প্রতিযোগিতা

কী ভাবে প্রেমে বিশ্বাস রেখেছিলেন ক্যাটরিনা

কী ভাবে প্রেমে বিশ্বাস রেখেছিলেন ক্যাটরিনা

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও, স্লোগানে উত্তাল মার্কিন ক্যাপিটল

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও, স্লোগানে উত্তাল মার্কিন ক্যাপিটল