ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও, স্লোগানে উত্তাল মার্কিন ক্যাপিটল
১৯ মে ২০২৪, ১১:৫১ এএম | আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ১১:৫১ এএম
ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ফিলিস্তিনপন্থী। বিক্ষোভ থেকে তারা ইসরায়েলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন। স্লোগানের মধ্যে ছিল- ‘চুরি করা জমিতে শান্তি নেই’, ‘হত্যা বন্ধ কর, অপরাধ বন্ধ কর’, ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও।’
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ‘নাকবা’ দিবসকে স্মরণ করে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ‘নাকবা’-এর সময় ৭ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। এ নির্বাসনকে স্মরণ করে ওয়াশিংটনে সমাবেশ করে শত শত বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এবং গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান অবিলম্বে সমাপ্তির আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের উপর তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাকবা আসলে কী?
১৯৪৮ সালের ১৫ মে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছিল ফিলিস্তিনিরা। সেই ঘটনাকে নাকবা বা বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করেন তারা। গত ১৫ মে ছিল নাকবার ৭৬তম বার্ষিকী। গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধের নামে গণহত্যা করে তাদের অব্যাহত সংগ্রামের ভয়াবহ স্মৃতি জাগিয়ে দিচ্ছে।
প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনির ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগে এবং ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা একে আরবিতে নাকবা বলে, যার অর্থ বিপর্যয়।
যুদ্ধের পরে ইসরায়েল তাদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কারণ এর ফলে তাদের সীমানার মধ্যে ফিলিস্তিনিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতো। পরিবর্তে তারা স্থায়ী উদ্বাস্তু সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে যার সংখ্যা এখন প্রায় ৬০ লাখ। বেশির ভাগই লেবানন, সিরিয়া, জর্দান এবং ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিমতীরে বস্তিসদৃশ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করে। গাজায় শরণার্থী এবং তাদের বংশধররা জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার অধিকার ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান এই সংঘাতের মূল কারণ।
এখন অনেক ফিলিস্তিনি ভয় পাচ্ছে যে তাদের বেদনাদায়ক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আরও ভয়াবহ মাত্রায় হতে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল তার আক্রমণ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে সমস্ত গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিরা গাড়ি এবং গাধার গাড়ি লোড করে উপচে পড়া তাঁবু ছেড়ে নিরাপদ জায়গার খোঁজে হেঁটে রওনা হচ্ছে। সাত মাসের যুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের গণউচ্ছেদের চিত্রগুলো ১৯৪৮ সালের সাদা-কালো ফটোগ্রাফের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত এই হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩০৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও ৭৯ হাজার ২৬১ ফিলিস্তিনি। সূত্র: এপি, ওয়াশিংটন টাইমস, ভয়েস অব আমেরিকা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন