ফেব্রুয়ারিতেই বেশি দাম কার্যকর
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম
খুচরা পর্যায়ে ৮.৫০ শতাংশ ও পাইকারিতে ৫.৭৪ শতাংশ বাড়ছে -নসরুল হামিদ হ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সর্বত্রই পড়বে
-ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ হ বিদ্যুতের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে -ড. জাহিদ হোসেন হ লুণ্ঠনমূলক ব্যয় কমাতে পারলে দাম বাড়ানোর দরকার হতো না -এম শামসুল আলম
বছর না ঘুরতেই গ্রাহক পর্যায়ে আবার বাড়নো হলো বিদ্যুতের দাম। ফেব্রুয়ারি থেকেই বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়নো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারই গেজেট জারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর আগে বলা হয়েছিলো আগামী পহেলা মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কিন্তু তার আগেই দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। নতুন করে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ সেক্টরে লুণ্ঠন কমানো গেলে বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়তো না। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ সেক্টরকে গিলে খাচ্ছে।
বাজারে নিত্যদিনের খরচ চালাতেই খাবি খাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতিতে জীবন জেরবার। এর মধ্যেই আসছে আরেক দুঃসংবাদ। গ্রীষ্ম মৌসুম সামনে রেখে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলার ও টাকার ঘাটতিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিলও বকেয়া রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এই দফায় দাম ৫ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১২ বার পাইকারি পর্যায়ে এবং ১৩ বার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে তিন দফায় বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নির্বাহী আদেশে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ানো হয়। শিল্প খাতে ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। তবে আবাসিকে গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে। পাশাপাশি কার্যকর হচ্ছে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় দাম বাড়ানোর পদ্ধতি। এ কারণে নির্দিষ্ট সময় পরপর ডিজেল-পেট্রোলের দাম বাড়তে বা কমতে পারে। ২০০ ইউনিটের ওপর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের দাম বেশি বাড়বে। বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খুচরা দাম ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ৬ টাকা ৯৫ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ইউনিট ৭ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ইউনিট ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে ১৩ টাকা ২৬ পয়সা। সেচে ৪ টাকা ৮২ পয়সা এবং শিল্পে লোড অনুসারে ৮ টাকা থেকে ১৩ টাকা। বিদ্যুতের দাম বাড়লে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষ আরও চাপে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে ঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে অতি উৎপাদিত বিদ্যুৎ সক্ষমতা হ্রাসের বিষয়টি এড়িয়েগেছে। গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়বে। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়বে আরেক দফা। এভাবে ইচ্ছামতো দাম বাড়াতেই কি আইনে পরিবর্তন এনেছে সরকার?। তবে সরকার উচ্চ ব্যয়ের ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘কুইক রেন্টাল’ ও ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এদিকে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অদক্ষতা-অব্যবস্থাপনার কারণেই বারবার জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে। রেন্টাল-কুইকরেন্টালের বিদ্যুৎ অর্থনীতির বড় ক্ষতি করেছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার, সে প্রসঙ্গে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয় এই বিশ্লেষকের কাছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জ্বালানি এমন একটি খাত যার প্রভাব সব কিছুর ওপরই পড়ে। ছোট-বড় সব শিল্পই জ্বালানির ওপর নির্ভর করে। এমনকি অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধেরও সম্পর্ক রয়েছে জ্বালানির দামে। অনেক কারখানা মাসে কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয়। ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এখন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দাম বাড়িয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারই গেজেট জারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেলন, বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়ছে। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকিতে ডলারের তারতম্যটাই মূল বিষয়। গ্যাসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এবার বিদ্যুতের ভর্তুকি গিয়ে দাঁড়াবে ৪৩ হাজার কোটি টাকায়। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাম সমন্বয়ে যেতে হবে। জ্বালানির দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। আমরা ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে মূল্য সমন্বয়ে যাবো। নিচের দিকে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৩৪ পয়সা বাড়ছে। তিনি বলেন, ওপরের দিকে ৭০ পয়সা বাড়বে। অর্থাৎ নিচের দিকে ৫ শতাংশ বাড়বে। ওপরের দিকে সাড়ে ৮ শতাংশের মতো। মাসের শেষে হয়তো ১০০ টাকায় ৫ থেকে ৮ টাকা বাড়তে পারে। আমাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রায় ১২ টাকা, ডলারের দামের তারতম্যের কারণে। ৭ থেকে ৮ টাকা ছিল এটা। আমরা গড়ে প্রতি ইউনিট বিক্রি করছি ৭ টাকায়। সমন্বয়টা উপরের দিকে বেশি করছি, নিচের দিকে কম করছি। বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কারণে প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের কথায় মনে হচ্ছে অত বেশি পরিবর্তন ঘটবে না। খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডায়নামিক প্রাইসে তেলের দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পহেলা মার্চ থেকে সেটি কার্যকর করা শুরু হবে। আর বিদ্যুতের দাম যেটা বেড়েছে, সেটা পহেলা ফেব্রæয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করেছি বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে দামে গ্যাস নিতো, সেখানে আমরা ৭০ পয়সার মতো সমন্বয় করেছি। আর তেলের দামও ডায়নামিক প্রাইসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। কিন্তু গ্রীষ্মে উৎপাদন করা হয় ১৩ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। শীতে সেটা নামে ৮ থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াটে। এখন পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে গত বছরের ১৯ এপ্রিল-১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। সারা বছরই বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার বড় অংশ অলস থাকে। ফলে এর বিপরীতে বসিয়ে বসিয়ে বিপুল অঙ্কের কেন্দ্র ভাড়া দিতে হয়, যা ক্যাপাসিটি চার্জ নামে পরিচিত। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশ্লেষণ বলছে, গত বছর সক্ষমতার ৪১ শতাংশ অলস ছিল। এদিকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দিতে হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিপুল পরিমাণ টাকা কেন্দ্রভাড়া দিতে না হলে, কম খরচের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালালে, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের ভিত্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলে উৎপাদন ব্যয় এত বাড়ত না। মানুষ কম খরচে বিদ্যুৎ পেত। সরকার এখন বিদ্যুৎ দাম বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে। ফলে খরচ কত, কোন কোন জায়গায় খরচ কমানো যায়, সেসব বিষয়ে বিষয়ে গণশুনানিতে পর্যালোচনা হয় না। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম ইচ্ছামতো বাড়াতে আইন পরিবর্তন করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহ-সভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠনমূলক ব্যয় রয়েছে। সেগুলো কমানো হলে দাম বাড়ানোর দরকার হবে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ব্যবহার বুঝে নির্ধারিত হয়। মাসে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত, ১০১ থেকে ২০০ ইউনিট, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত এভাবে বিভিন্ন শ্রেণির জন্য আলাদা আলাদা দর থাকে। কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি ইউনিটে ২৫ থেকে ৩০ পয়সা বাড়তে পারে। তবে যাঁরা সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী অর্থাৎ মাসে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহার করেন, তাদের জন্য প্রতি ইউনিটে ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বাড়তে পারে। এর আগে গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এর মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এক দফায় বাড়ে পাইকারি বিদ্যুতের দাম। এ নিয়ে গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও ভোক্তা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন সেমিনাবে বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। দুর্নীতি কমিয়ে, লোড ব্যবস্থাপনা করে এবং ক্যাপাসিটি চার্জের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলোর সমাধান করলেই বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায়হানের দোষ স্বীকার
গণহত্যাকারী কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না: আসাদুজ্জামান রিপন
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা জন্য আমাদের লড়াই চলছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ইনসি ইকো প্লাস সিমেন্ট নিয়ে এলো বাংলাদেশের সমূদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের উপযোগী করে দীর্ঘস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সমাধান
হাত-পা ও চোখ বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো হয় --- আবু বাকের
দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠে" প্রকাশকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুর সাংবাদিক জোটের প্রতিবাদ সভা
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার
শ্রীলঙ্কার চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে কি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ?
ফুটবলের মাঠে চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল
এবার ফাঁস হলো রাবি শিবির সভাপতির পরিচয়
নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার
‘অধ্যাপক’ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন
ঢাবিতে মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা হিজাব পরতে পারবেন