যত্রতত্র মাদরাসার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী কমছে : শিক্ষামন্ত্রী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম

সারা দেশে যত্রতত্র কওমি-নূরানি মাদরাসা বাড়ছে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। এটি সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, যে কারণে এটি নিরসন করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রোমানা আলী, শিক্ষা সচিব সোলেমান খানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, অ-নিবন্ধিত মাদরাসাগুলোর বিষয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে আলোচনা উঠে এসেছে। বিশেষ করে তারা বলেছেন, সারা দেশে যত্রতত্র নূরানি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের আশ্বস্ত করেছি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত হওয়ার প্রক্রিয়ার বাইরে যারা মাদরাসা খুলছেন, সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নয়। সেক্ষেত্রে কীভাবে বেফাক তাদের ছয়টি বোর্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন দিচ্ছে, তাদের সাথে কাজ করতে হবে। একটি বয়স-সীমা পর্যন্ত সেখানে যাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা হয়। নয়তো শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, কখন শিক্ষার্থীরা স্কুলগুলোতে ভর্তি হয়, সেই সময়টাতে এসব (অ-নিবন্ধিত মাদরাসা) প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় কি-না, সেগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা করব। তবে অ-নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর হার বাড়বে, আর নিবন্ধিত ও সরকারের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমবে, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। বিষয়টি সব সময় মাথায় রাখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি জরিপ করেছে। অ-নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেক জায়গায় একেক পরিসংখ্যান। সে কারণে নিবন্ধনের বিষয়টা নিয়ে মাঠ প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করা হবে।

নওফেল বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি করার বিষয়ে আদালতের একটি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কমিটির তদন্ত চলছে বলে যেন পুলিশি বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। অনেক সময় দেখা যায় নিশ্চিতভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তদন্ত কমিটি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ করছে। জেলা প্রশাসকদের বলেছি, এমন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে সময় নেয়া যাবে না।

ডিসিরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের কাজ শুরু হয়েছে, সেটির বিষয়ে নেতিবাচক কোনো অভিজ্ঞতার কথা তারা বলেননি। ফলে ধরে নিতেই পারি এই শিক্ষাক্রম শিক্ষক ও অভিভাবকরা গ্রহণ করেছেন।

পরে শিক্ষামন্ত্রী ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে জরুরি-ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবেন বলে ডিসিদের আশ্বস্ত করেন। একই সাথে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে তাৎক্ষণিক নির্দেশনাও দিয়েছেন তারা।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সিলেটের জকিগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রাণ গেল যুবকের

সিলেটের জকিগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রাণ গেল যুবকের

কুড়িগ্রামে ভরা বর্ষাকালে খরা, সময় মতো হালচাষ করতে না পাড়ায় দুশ্চিন্তায় আমন চাষিরা

কুড়িগ্রামে ভরা বর্ষাকালে খরা, সময় মতো হালচাষ করতে না পাড়ায় দুশ্চিন্তায় আমন চাষিরা

চাঁদপুরে কাচ্চির নামে প্রতারণা, অভিযানে জরিমানা

চাঁদপুরে কাচ্চির নামে প্রতারণা, অভিযানে জরিমানা

মনিরামপুরে বাস চাপায় একজন নিহত

মনিরামপুরে বাস চাপায় একজন নিহত

মতলবের আলোচিত জুয়েল হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন

মতলবের আলোচিত জুয়েল হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন

অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে;সেলিম উদ্দিন

অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে;সেলিম উদ্দিন

সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল

সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল

মৃত্যু ও ধ্বংসের মধ্যেও ট্রাম্পের বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান গাজাবাসীর

মৃত্যু ও ধ্বংসের মধ্যেও ট্রাম্পের বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান গাজাবাসীর

মিলানেই যোগ দিচ্ছেন মদ্রিচ

মিলানেই যোগ দিচ্ছেন মদ্রিচ

ভিন্নমত দমন নয়, তা প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

ভিন্নমত দমন নয়, তা প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

মাস্টারমাইন্ড শাহপরানের শুনানি বুধবার, রিমাণ্ড শেষে চার আসামি কারাগারে

মাস্টারমাইন্ড শাহপরানের শুনানি বুধবার, রিমাণ্ড শেষে চার আসামি কারাগারে

ফুটবলকে বিদায় বললেন রাকিটিচ

ফুটবলকে বিদায় বললেন রাকিটিচ

কাহ্নপা সাহিত্য পদক পাচ্ছেন কবি মজিদ মাহমুদ ও অনুবাদক খসরু চৌধুরী

কাহ্নপা সাহিত্য পদক পাচ্ছেন কবি মজিদ মাহমুদ ও অনুবাদক খসরু চৌধুরী

কিছু রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য: হাসনাত

কিছু রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য: হাসনাত

দাবি পূরণ না হলে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য সেবার সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা

দাবি পূরণ না হলে ইপিআইসহ স্বাস্থ্য সেবার সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা

কার নেতৃত্বে আ.লীগের পুনর্বাসন হতে যাচ্ছে, জানালেন রাশেদ খান

কার নেতৃত্বে আ.লীগের পুনর্বাসন হতে যাচ্ছে, জানালেন রাশেদ খান

নকল ব্রান্ডের সিগারেট ও মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা

নকল ব্রান্ডের সিগারেট ও মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা

ইউক্রেনে ফের অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা, ডিগবাজী ট্রাম্পের

ইউক্রেনে ফের অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা, ডিগবাজী ট্রাম্পের

কঠিন লক্ষ্যে শুরুতেই বাংলাদেশের হোঁচট

কঠিন লক্ষ্যে শুরুতেই বাংলাদেশের হোঁচট

অর্ধদিন জনভোগান্তি,  প্রশাসনের আশ্বাসে  সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

অর্ধদিন জনভোগান্তি,  প্রশাসনের আশ্বাসে  সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার