বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরো ২ শতাধিক মিয়ানমার বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। আরকান আর্মীর সাথে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের কারণে বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তে জড়ো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উপজেলার জামছড়ি, আশারতলী, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে সে দেশের স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।

এদিকে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির সেক্টর-২ এর আরও ২ শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। জামছড়ি সীমান্তে জড়ো হয়েছে বিপুলসংখ্যক বিজিপি সদস্য। আজ কালের মধ্যে সীমান্তের জিরো লাইনে তারা আশ্রয় নিতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় নেয়। তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটেলিয়ান সদরের একটি স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায় নি। এর আগে আরো ৩৩২ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।