বিগত আন্দোলনের মাঠে লাপাত্তা থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এনিয়ে দলীয় পরিমণ্ডলে মিশ্র-প্রতিক্রিয়ায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ত্রিশাল উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফিসহ এই অভিযোগ কপিতে স্বাক্ষর করেছেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ১৩ জন পদধারি নেতা।
সোমবার (১৮ মার্চ) এই অভিযোগের কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলা বিএনপির ভেতরে-বাইরে নানা আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ওই অভিযোগে বলায় হয়- বিগত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: লিটন আন্দোলনের মাঠ থেকে রহস্যজনক ভাবে আত্মগোপনে চলে যান। ওই সময়ে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করেননি। প্রচার রয়েছে, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করায় তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। সেই সঙ্গে দল ভাঙ্গা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃত বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ডা: লিটনের একান্ত অনুসারী ও স্বজনরা অর্থ ব্যায় করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস। সম্প্রতি ত্রিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এই সংসদ সদস্য এসব তথ্য উপস্থাপন করেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এই অবস্থায় চলমান প্রেক্ষাপট ও দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় অভিযোগটি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ত্রিশাল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তবে এই অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটনের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।