যানজটে ভোগান্তি কর্মজীবীদের
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম
একদিকে ইফতারের আগে চাকরিজীবীদের ঘরে ফেরার তাড়া, অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া মানুষের চাপ, তার ওপর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। এ তিন কারণ মিলে অফিস শেষে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। আর এ যানজটে আটকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবীসহ সাধারণ যাত্রীদের। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে যানজটের এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, আড়ং, ধানমন্ডি ২৭, ধানমন্ডি ৩২, কলাবাগান, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, শান্তিনগর, কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড়, গুলিস্তান, ওয়ারি, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কুড়িল, নতুনবাজার, বাড্ডা, প্রগতি সরণি, রামপুরা, মিন্টুরোড, গুলশান-১, গুলশান-২ এলাকার সড়কগুলোতে তীব্র যানজট রয়েছে। একেকটি সিগন্যাল পার হতে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকি যানজট সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাজধানীতে যানজট নিত্য ব্যাপার। অফিস শুরু ও শেষের সময় অবধারিতভাবেই পুরো রাজধানীজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। সপ্তাহের শুরু ও শেষ কর্মদিবসে তা কয়েকগুণ তীব্র রূপ ধারণ করে। সাধারণত বিকেলের যানজট শুরু হতো ৫টার পর থেকে। কিন্তু রমজানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করায় এখন বিকেল ৩টা থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়। কারণ হিসেবে যাত্রী, চালক-হেলপার ও ট্রাফিক সদস্যরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে অফিস শেষে সবাই একসঙ্গে বাসায় ফেরা শুরু করেন। যার কারণে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। এখন ঈদের আগে অনেকে কেনাকাটা করতে বের হচ্ছেন, যার কারণে যানজটের মাত্রা আরও বেড়েছে।
কারওয়ান বাজার মোড়ে সিগনালে আটকে থাকা একটি বাসের হেলপার বলেন, রোজার প্রথম দিকে দুপুরের সময় যানজট ছিল না। এখন বাড়ছে, কারণ মানুষ মার্কেট করতে বের হচ্ছে। ঈদ যত এগোবে, যানজট তত বাড়বে। শিকড় বাসের হেলপার বলেন, সকালের অফিস সময়ে আর ইফতারের ঘণ্টা খানেক আগে যানজট ভালো করে লাগে। অন্য সময় কমই থাকে। ইফতারের পর তো রাস্তা পুরোই ফাঁকা থাকে। তখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে সময় লাগে না। কিন্তু ইফতারের আগে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে ঘণ্টা পার হয়ে যায়। রমজানে তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তার ওপর যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় বাসগুলোতে ওঠার অবস্থাও থাকে না।
বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা এক যাত্রী বলেন, রোজার সময় দুপুরের দিকে সাধারণত যানজট থাকে না। কিন্তু বিকেল হলেই যানজট বেড়ে যায়। কারণ তখন সব অফিসগুলো ছুটি হয়। আবার পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে হলে ওই সময়ই যেতে হবে। কারণ অফিস থেকে তো আর আগে বের হওয়ার সুযোগ নেই। তাই ভোগান্তি হলেও কষ্ট করে যেতে হয় আমাদের। আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকার রাস্তায় সব সময়ই যানজট থাকে। ফ্রি বলতে কিছু নেই। শুধু ইফতার চলাকালীন রাস্তা ফ্রি বলা যায়। এছাড়া কোনো জায়গায় যেতে বাসে উঠলেই মিনিমাম এক ঘণ্টা নাই হয়ে যায়।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জয়সয়ালকে ফেরালেন নাহিদ
সরকারের শিক্ষা-গণমাধ্যমসহ আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ
তাসকিনের শিকার রোহিত
কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার হলো ধামরাইয়ে
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে চাটমোহরে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন
বায়তুল মোকাররমের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে যা বললেন খতিব রুহুল আমীন
গোদাগাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক, সাবেক এমপি লুৎফুন নেসা হোসেন মারা গেছেন।
দেড়শর আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
ঝিনাইদহে ৮ মামলায় পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তা আসামী
পাহাড়িদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ
গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা নিয়ে অভিনেত্রী মেহজাবীনের পোস্ট
গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে ৫ সাংবাদিক নাশকতার মামলায় আসামি
ঢাবিতে বর্বরোচিত গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জলের জানাজা শেষে পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন
তারাকান্দায় প্রাইভেটকার ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত-২
রাঙামাটিতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড
দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক সহ আটক-১
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ পেলেন ড. এস এম হাসান তালুকদার
৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ