ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি বর্জন ইস্যুতে মুখোমুখি

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে সর্বত্রই ঈদ উপলক্ষ্যে ভারতীয় শাড়ি-জামা বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব :: ভারতের বিজেপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের সময় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ মাথায় বজ্রপাতের নামান্তর :: বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা পণ্য বর্জনের পক্ষে, তবে দিল্লিপন্থি নেতারা ভারতের পণ্য বর্জন আন্দোলনে দলকে জড়াতে নারাজ
স্টালিন সরকার
‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ আন্দোলন বাংলাদেশে নতুন মাত্রা পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হওয়া এ আন্দোলন রাজধানী ঢাকা, অতঃপর চতুর্দিকে ডালপালা ছড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে এ আন্দোলন সারাদেশের হাট-বাজার, মার্কেট, শপিংমল, বিপনি বিতানে এমনকি রাজনীতির মাঠে গড়াচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপান-উতোর। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর প্রবাসী অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ফ্রান্স থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। দৃশ্যত জনগণের বর্জনের মুখে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্দার আড়াল থেকে ভারতের দাদাগিরি ভ‚মিকার প্রতিবাদে তিনি এ আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীতে সারাবিশ্বের ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার প্রবাসী অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। তারা এ নিয়ে প্রচারণা চালাতে থাকেন। বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় বিশ্বের দেশে দেশে ভারতীয় পণ্য কেনা-বেচায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেশের অর্ধ-শতাধিক রাজনৈতিক দলও এ আন্দোলন সমর্থন জানান। ঢাকার রাজপথে কিছু তরুণ-যুবক রাজনৈতিক কর্মী ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ সম্বলিত ব্যানার, প্লাকার্ড নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।

‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং টিভির টকশোগুলোতে যখন তোলপাড় চলছে; তখন দেশে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষ সরব হয়ে উঠেছেন। তারা নিজেদের মতো করে ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছেন। এ অবস্থায় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং দলটির মুখপাত্র রুহুল কবিব রিজভী আহমেদ ভারতীয় পণ্যবর্জন আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারণার প্রতি সমর্থন জানান। বিএনপি নেতার এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। যারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে, তারা দেশের জনগণ শত্রæ। এর মধ্যে গত সাপ্তাহে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ দলীয় কর্মসূচির চলাকালে একটি ভারতীয় শাল ছুড়ে ফেলেন এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এতে বদলে যায় রাজনীতির দৃশ্যপট। বিএনপি, জামায়াত, বাম দলসহ অর্ধশতাধিক দলের মাঠ পর্যায়ের নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। তারা হাট-বাজারে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভারতীয় পণ্য কেনা-বেচা বয়কট করে দেশী পণ্য কেনা-বেচা করতে উৎসাহিত করেন। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশি জামা-কাপড় ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করেন।

অবশ্য বিএনপি ভারতীয় পণ্য বয়কটের কথা বললেও সত্যিকার অর্থে ভারতীয় পণ বর্জন করতে চায় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে গত ২৭ মার্চ তিনি বলেছেন, বিএনপির নেতারা বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বিশ্বাস করবো আপনারা (বিএনপি) সত্যি ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা বিএনপির নেতারা খেতে পারবে কিনা এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা (বিএনপি) এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কিনা, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।

সারাবিশ্বে প্রবাসী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ প্রচারণায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে ভারতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় কমে গেছে। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করছেন। এতে বিশ্ববাজারে ভারতীয় পণ্যের বিক্রীতে কিছুটা হলেও ধাক্কা লাগে। এতে করে ভারতের গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ কর্মসূচির কঠোর সমালোচনা করে প্রবন্ধ-নিবন্ধ ছাপায়। বাংলাদেশেও দিল্লির পদলেহি মুখচেনা কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ আন্দোলনের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন, লেখালেখি করছেন। এর মধ্যে রুহুল কবির রিজভীর ভারতীয় শাল ছুঁড়ে মেরে তাকে আগুন ধরিয়ে দেয়া দৃশ্যের সচিত্র খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এতে করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়।

কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের চাপের মুখে ভারতের সহায়তানায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন সরকার গঠনের পর ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি আর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে মধুচন্দ্রিমা উদযাপন। কয়েকদিন আগে সচিবালয়ে ঢাকায় কর্মরত ভারতের হাইকমিশনার প্রণব ভার্মাকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারত আওয়ামী লীগের পাশে ছিল বলেই নির্বাচন হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে। দিল্লি পাশে ছিল বলেই আমরা নির্বাচন করতে পেরেছি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত যেমন আওয়ামী লীগের পাশে ছিল, সারাজীবন তারা তেমনিভাবে পাশে থাকবে।’ ‘দিল্লি পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চক্রান্ত সফল হয়নি’। বিজেপি নেতাদের এবং মোদী সরকারকে খুশি করতে যখন সরকারের মন্ত্রীরা যখন ‘দাদাদের তোষামোদী’ চর্চায় ব্যস্ত; তখন ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন তাদের সম্পর্কের ওপর চপেটাঘাত করেন। ক্ষমতাসীন দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব! বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কি না! আসলে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি এখন দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি নেতা মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান, রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর হঠাৎ করে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ রাজনীতির মাঠ গরম হবে এটা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের কাছে ছিল অকল্পনীয়। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন বিএনপি একটি নেতৃত্ববিহীন অগোছালো ব্যর্থ রাজনৈতিক দল। গত ১৫ বছরে নেতাদের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত এবং অদূরদর্শী রাজনৈতিক কর্মকাÐ দলটিকে বেহাল দশায় ফেলেছে। ব্যাপক জনসমর্থন থাকার পরও অযোগ্য নের্তৃত্বের কারণে দলটি কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আবার আওয়ামী লীগ ভারতকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন মেনে নেয়ার চেষ্টা করছে। ভারত যাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুতিয়ালি করেন সে জন্যই মন্ত্রীরা ‘ভারতের কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে’ ‘ভারত ছিল বলেই বিদেশী শক্তি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি’ নির্বাচনে ভারত যেমন পাশে ছিল সারাজীবন আওয়ামী লীগের পাশে থাকবে’ ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে মোদী সরকারের নীতি নির্ধারকদের তুষ্ট করছে। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারণা এবং বিএনপির সেই ডাকে সমর্থন আওয়ামী লীগের কাছে মাথায় বজ্রপাতের মতো ঘটনা। অবশ্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মন্ত্রীদের ‘ভারতীয় তোষণ’ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, একটি রাষ্ট্রের (ভারত) প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান শাসক দলের অভ্যাস। দিল্লি আছে, তারা (আওয়ামী লীগ) আছে ক্ষমতায়, এ ধরনের কথা বলতে আওয়ামী লীগের লজ্জাবোধ হয় না। আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, বিদেশে তাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। তাহলে ভারত তাদের কি?

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করছে না, একটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করলে ভারত এই বিবৃতি দিতে পারে না যে বাংলাদেশে নির্বাচিত একটা সরকার হয়েছে। আমরা আশা করবো যেহেতু আমি প্রতিবেশী বদলাতে পারবো না ওরা যত তাড়াতাড়ি বাস্তবটা বুঝতে পারে তত ভালো। আমাদের ভারতীয় পণ্য বর্জন করে তাদের বুঝাতে হবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত ভুল করছে।

ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থনে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে গণঅধিকার পরিষদ। দলের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, দুই মাস ধরে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন চললেও বিএনপি এতদিন এ ব্যাপারে নীরব ছিল। দলটির অপর অংশের নেতা তারেক রহমান প্রতিদিন রাজধানী ঢাকায় একই মাইকে ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বুধবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান হয়েছে, তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে। গত নির্বাচনে ভারতীয় নীতিনির্ধারক ও ক‚টনীতিকরা যেভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে তার বিরুদ্ধে এটি একটি সামাজিক প্রতিবাদে অংশ নেয়া।

এদিকে গত ২৬ মার্চ গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। দলটির নেতারা মনে করেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সহায়তাসহ নানা কারণে সাধারণ মানুষ ভারতের আচরণে ক্ষুব্ধ। তারা সেই ক্ষোভ থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। তবে এটি কোনো সংগঠিত আন্দোলন নয়। বরং বলা যায়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন। দলটির ভারতপন্থী হিসেবে চিহ্নিত নেতারা বলেন, বিএনপি কয়েক বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, ভবিষ্যতেও ক্ষমতাপ্রত্যাশী দল হিসেবে বিএনপিকে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না। বিএনপির কিছু নেতার এই দ্বিচারিতা বুঝতে পেরেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বলবো আপনাদের বউদের আলমারিতে যে কয়টা ভারতীয় শাড়ি আছে সব এনে যেদিন ওই অফিসের সামনে পোড়াবেন সেদিন বিশ্বাস করব যে, আপনারা সত্যিকার ভারতীয় পণ্য অর্জন করলেন। ভারত থেকে আমরা গরম মসলা, আদা-রসুন, পেঁয়াজ আমদানি করি, মিজোরাম থেকে মসলাপাতি আসছে। বিএনপি নেতাদের কারও পাকের ঘরে যেন এই ভারতীয় মসলা দেখা না যায়। তাদের রান্না করে খেতে হবে এইসব মসলা বিহীন।

‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ আন্দোলনের আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সঙ্গী ভারতের পণ্য বর্জনের মাধ্যমে বিএনপির দেউলিয়াত্বের প্রকাশ পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ভারতের পণ্য বর্জন এবং ভারতবিরোধী বক্তব্য হঠাৎ করে রাজনীতিতে এনে অস্থিরতা তৈরি করে একটি অশুভ শক্তি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ভারত উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে ‘গণতন্ত্রের স্বার্থেই’ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার হলো ধামরাইয়ে

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার হলো ধামরাইয়ে

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে চাটমোহরে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে চাটমোহরে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন

বায়তুল মোকাররমের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে যা বললেন খতিব রুহুল আমীন

বায়তুল মোকাররমের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে যা বললেন খতিব রুহুল আমীন

গোদাগাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক, সাবেক এমপি লুৎফুন নেসা হোসেন মারা গেছেন।

গোদাগাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক, সাবেক এমপি লুৎফুন নেসা হোসেন মারা গেছেন।

দেড়শর আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস

দেড়শর আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস

ঝিনাইদহে ৮ মামলায় পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তা আসামী

ঝিনাইদহে ৮ মামলায় পুলিশের ৪৩ কর্মকর্তা আসামী

পাহাড়িদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ

পাহাড়িদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ

গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা নিয়ে অভিনেত্রী মেহজাবীনের পোস্ট

গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা নিয়ে অভিনেত্রী মেহজাবীনের পোস্ট

গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

হবিগঞ্জে ৫ সাংবাদিক নাশকতার মামলায় আসামি

হবিগঞ্জে ৫ সাংবাদিক নাশকতার মামলায় আসামি

ঢাবিতে বর্বরোচিত গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জলের জানাজা শেষে পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন

ঢাবিতে বর্বরোচিত গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জলের জানাজা শেষে পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন

তারাকান্দায় প্রাইভেটকার ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত-২

তারাকান্দায় প্রাইভেটকার ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত-২

রাঙামাটিতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

রাঙামাটিতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড

দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক সহ আটক-১

দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক সহ আটক-১

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ পেলেন ড. এস এম হাসান তালুকদার

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ পেলেন ড. এস এম হাসান তালুকদার

৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

২০ কোটি সহায়তা দিয়ে এখনও বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে : ডা. জাহিদ

২০ কোটি সহায়তা দিয়ে এখনও বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে : ডা. জাহিদ

বায়তুল মোকাররমে তুমুল হট্টোগোল-মারামারি (ভিডিওসহ)

বায়তুল মোকাররমে তুমুল হট্টোগোল-মারামারি (ভিডিওসহ)

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফিরোজ হোসেনকে গ্রেফতার

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফিরোজ হোসেনকে গ্রেফতার