জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইসরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, বাংলাদেশ এখনো যাকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিই দেয়নি। মানবতাকে পদদলিত করে গাজায় ব্যাপক ভাবে গণহত্যা চালিয়ে আসা সেই অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের দুটো বিমানের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ সংক্রান্ত খবরে জনমনে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে অসম্ভব রকম সংশয় ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমরা অবিলম্বে সরকারের কাছে এর সঠিক ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দাবী করছি। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,গত ৭ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল ইসরায়েলের ২টি বড় মাপের কার্গো বিমান ঢাকায় কেন অবতরণ করল? কি নিয়ে অবতরণ করল? এ সব প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার দেশের মানুষের আছে। জমিয়ত নেতারা নজিরবিহীন এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এখনো পর্যন্ত এই হায়েনা রাষ্ট্রের বর্বরোচিত আক্রমণে ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনী প্রাণ হারিয়েছেন,যাদের মধ্যে ২৫ হাজারই নারী ও শিশু। স্বাভাবিক কারণে যে মূহুর্তে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য সারা দুনিয়ার মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে,যে মূহুর্তে বাংলাদেশের মানুষও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করছে সে মূহুর্তে এমন খবরে সীমাহীন উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে,সরকারকে অবশ্যই এর যথোপযুক্ত জবাব দিতে হবে। ইসরায়েলের সাথে কোন সম্পর্ক দেশের মানুষ কিছুতেই মেনে নিবে না। আজ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ যিয়া উদ্দীন,সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক,মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী,মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার,মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব,মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া এ সব কথা বলেন।