ভারতীয় পণ্য বর্জন ও ভারত হটাও আন্দোলনে এবার সংহতি জানালেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। বললেন, ‘এই স্বাধীনতা দিবসেও ভারত আমাদেরকে দুইজনের লাশ উপহার দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আমরা তাদের কৃতদাস।’

গ্লোবাল বাংলাদেশিস অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস সোমবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রতি সমর্থন জানাতে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন শহিদুল আলম।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে তাতে আজকের ভারত হটাও আন্দোলন অভাবনীয়। কিন্তু ভারত তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে যে ব্যবহার করে আসছে, তাতে এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা পরিষ্কার হয়ে যায়। এটাও মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।’

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও সংহতি প্রকাশ করেন মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ও ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের উদ্যোক্তা ড. পিনাকী ভট্টাচার্য এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

এদিকে, ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশ সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনেকেই আগ্রহের সাথে ভার্চুয়াল সমাবেশে অংশ নেন। ভারত হটাও আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেন বহুজন।

মোঃ রুবেল লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ বয়কট শুধু বাংলাদেশে না এখন পুরো বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে। এরা বাংলাদেশের জনগনের ও স্বাধীনতা শত্রু। তাই এদের পণ্য বর্জন করা আমাদের দায়িত্ব।

শহিদুল আলমের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অনেকের মতোই ফেসবুক ব্যবহারকারী কুদরত লিখেছেন, দারুণ বলেছেন, পাশে আছি ..পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ!

মুহিবুল বুলবুল লিখেছেন, প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা স্বত্তেও লন্ডনস্থ ইন্ডিয়া হাউজের সামনে বিক্ষোভে অগণিত মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলনে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলন চলছে, চলবে।

হাফিজুর রহমান লিখেছেন, যাক দেরিতে হলেও এখন অনেকের কাছে এটা প্রতীয়মান যে, বাংলাদেশ আারেকটা ভারতের সিকিম হতে যাচ্ছে।

এদিনের সমাবেশে উৎসাহিত হয়ে মোহাম্মাদ হাবিব লিখেছেন, প্যারিসে ইন্ডিয়ান এম্বাসির সামনে বিক্ষোভ ডাক একমাত্র আমি দিয়েছিলাম টিপাই মুখে বাঁধের প্রতিবাদে। সফল করতে অনেক সংঘঠন সেদিন যোগ দিয়েছিল।আবারও ডাক দিতে হবে পন্য বয়কট আর সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে।