থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ঢাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা, যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা
১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ছাত্রলীগ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে টিএসসি এলাকায় অবস্থান করছে ছাত্রলীগ। জানা গেছে, পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনকে সফল করতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিকেল থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি বেড়ে যায় পুরো এলাকায়। গতকালের মতো আজও ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাবি এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে নজিরবিহীন হামলার শিকার হয় আন্দোলনকারীরা। তাই হামলার প্রতিরোধ করতে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেশ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থানকারী প্রত্যেক আন্দোলনকারীর হাতে একটি করে লাঠি দেখা রয়েছে।
এই জমায়েতে শুধু ঢাবি শিক্ষার্থীরাই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এখান থেকে কোটা আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, সরকার চাইলেই আমাদের দাবি মেনে নিতে পারে। কিন্তু তা না করে ছাত্রলীগ এবং পুলিশকে দিয়ে খেলছে। এই খেলার বলি হলো রংপুরে একজন, চট্টগ্রামে দুইজন এবং ঢাকা কলেজ এলাকায় এক যুবক। এছাড়া আরও অনেক আহত হয়েছেন। আমাদের দাবি তো যৌক্তিক। সরকার কেন তাহলে মেনে নিচ্ছে না!
তারা আরও বলছেন, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাথে আসা বাহিরের টোকাইরা আমাদের বোন এবং ভাইদের ব্যাপক মারধর করেছে। এটা কোনো বৈধ রাষ্ট্রে হতে পারে না। আমরা তো কেউ এদেশের অবৈধ নাগরিক নই। আমাদের স্লোগানকে বিকৃত করা হচ্ছে। পরের যে দুই লাইন, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ লাইনটিকে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সরকারদলীয় লোকজন বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। ফলে দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা বাতিল করতে হবে। এই কোটার কারণে মেধাবীরা ঠিকভাবে চাকরি পাচ্ছে না।
বিকেল থেকে এখন সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। বেলা ডুবে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়নি। তবে থেকে থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। ‘ধর ধর, হই হই’ শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে শহীদ মিনার কেন্দ্রীয় এলাকা।
অন্যদিকে, ঢাবির টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান নিলেও তারা সারাদিন একবারের জন্যেও আন্দোলনকারীদের দিকে ধেয়ে আসার সাহস পায়নি। তবে চলমান এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্সকে কোনো প্রকার বাধা দিচ্ছেন না।
এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা দোয়েল হয়ে রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে মাইকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে— ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।’ এছাড়াও মাইকে বলা হচ্ছে, আন্দোলনকারীরা যেন বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থাকে। তারা যেন কিন্তু শহীদ মিনারের এলাকায় একসাথে থাকে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই
শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী
নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ
বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর
গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন
নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে