বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বুধবার রাত ১টায় বারিধারার বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি তাকে গ্রেফতার দেখায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে পার্থের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ায় তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে গতকাল দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক আবু সাঈদ মিয়া পার্থকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমাÐ চেয়ে আদালতে পাঠান। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী বাশার রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। তখন অজ্ঞাতনামা আড়াই থেকে ৩শ’ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ¯েøাগান দিতে থাকে।
সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচ তলার ভবনের সামনে থাকা জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়।