কারাগারে বসেই পুলিশ বক্স ভেঙেছেন দুই ছাত্রদল নেতা!
২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৭ এএম
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেই নগরীর কাজির দেউড়ির পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা। এমন অভিযোগে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই দুই নেতা পুলিশ বক্সে হামলা ভাঙচুর করেছেন বলে পুলিশ মামলায় উল্লেখ করেছে। অথচ এই দুজনকে পুলিশ দুই দিন আগেই অন্য মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নগরীর মুরাদপুরে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করে। এগুলোর একটি হত্যা মামলা। পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক দীপক দেওয়ান সাড়ে ৬ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তি আসামি করে ১৭ জুলাই হত্যা মামলাটি করেন। ওই দিনই কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক জমির উদ্দিনকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন বিকেলেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই ইমাম হোসেন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এই দুই নেতাসহ ৬৩ জনকে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠান। পুলিশের আবেদনে বলা হয়, তারা জামিনে বেরিয়ে গেলে পুনরায় শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে। আদালত তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
১৭ জুলাই থেকে তারা কারাগারে থাকলেও ১৯ জুলাই পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় তাদের আসামি করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৯ জুলাই নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে বের করা একটি প্রতিবাদ মিছিল থেকে নগরীর নিউমার্কেট ও কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে তিনটিসহ চারটি মামলা হয়। তিনটি মামলায় ৬০ জন করে নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়। তিনটি মামলায় নাম উল্লেখ করে এজাহারভুক্ত আসামি একই। তবে ধারা ভিন্ন।
তিন মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা আন্দরকিল্লা থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশ বক্সে হামলা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেছে। ওই তিন মামলার প্রতিটির এজাহারে ৪৩ নম্বরে আসামি করা হয় নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম আর ৪৯ নম্বরে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক জমির উদ্দিনকে। তিন মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা আন্দরকিল্লা থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশ বক্সে হামলা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেছে। কারাবন্দীরা কীভাবে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন জানতে চাইলে মামলার বাদী কোতোয়ালি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বোরহান উদ্দিন বলেন, সেটা সম্ভব না। বিষয়টি আমরা দেখছি। বিএনপি নেতারা বলছেন পুলিশ যে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আজগুবি অভিযোগে গায়েবি মামলা দিয়ে আসছে এই ঘটনা তার বড় প্রমাণ। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত না থাকলেও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে তাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। কারাগারে থাকা নেতারাও রেহাই পাচ্ছেন না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম