প্রধান্য দেয়া হয় একটি বিশেষ জেলাকে। দ্রুত এসব নিয়োগ বাতিলের দাবি
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
পুলিশের এসআই পদে নিয়োগে শত কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে সারদা পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণরত এসব এসঅঅইয়ের বেশির ভাগ প্রার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট সবকিছু সমন্বয় করে। এই চক্রে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই তিন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি)। এমনকি পুলিশ সদর দফতরের একজন অতিরিক্ত আইজিপি এ নিয়োগ বাণিজ্যের ভাগ নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পুলিশে নিয়োগের নামে দুর্নীতি। এক্ষেত্রে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। তার নির্দেশে চক্রটি এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) ও সার্জেন্ট নিয়োগে মেধাবী ও যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ও অদক্ষদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। ২০২৩ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ব্যাচের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫ হাজার ৮০০ জনের মধ্য হতে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৮২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৪০তম আউট সাইড ক্যাডেট ব্যাচের এই ৮০১ জন বর্তমানে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে রয়েছেন সারদা পুলিশ একাডেমিতে।
এর বাইরে ২০২৪ সালে আউট সাইড ক্যাডেটের নতুন একটি ব্যাচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ২০০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে আগের মতোই একইভাবে ওই চক্র বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। মাঠ পরীক্ষা হতে চূড়ান্ত নিয়োগ পর্যন্ত পার করার উদ্দেশে এক একজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা প্যাকেজ আকারে গ্রহণ করেছেন।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অনিয়ম-দুর্নীতিকে এখনই ‘না’ বলা উচিত। যারাই দুর্নীতি করবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। না হলে সমাজে যোগ্য ব্যক্তিরা পিছিয়ে পড়বেন। এতে বৈষম্য বাড়বে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশের এই নিয়োগ বাণিজ্যের অন্তরালে ছিলেন। তিনি তার প্রভাব বিস্তার করে মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে নিজর পছন্দের কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠন করাতেন নিয়োগ বোর্ড। ওই নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন পুলিশের সাবেক এক অতিরিক্ত আইজি। এ ছাড়া ওই বোর্ডে তার কথিত ক্যাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন একজন উপসচিব, পুলিশের একজন ডিআইজি ও এআইজি। তারা মূলত এই নিয়োগ বাণিজ্যে সহায়তা করতেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
আজ ছোট পর্দায় মুক্তি পাবে নাটক 'হোয়াট এ বৌ'
পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ছবি সরিয়ে ফেললেন ভারতের সেনাপ্রধান
বরিশাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যলায়েড সায়েন্সেস চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক অবদান রাখছে
হাসিনাকে নিয়ে ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’তে সচেতন ছিলেন না টিউলিপ এটি ‘দুঃখজনক’ : লরি ম্যাগনাস
শেখ পরিবার একটি চোরের কারখানা’
অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা মামুন
জিমি কার্টারের প্রতি ৩০ দিনের শোকাবস্থা উপেক্ষা করে ট্রাম্পের পতাকা উত্তোলন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস
টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস
পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন
টিউলিপের পদত্যাগ ইস্যুতে প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৬ নম্বরে
মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে লাশ হলো "মা"!
মীরসরাইয়ে মুন্না খুনের ঘটনায়, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার
আজ সারদায় ৪৮০ এসআইয়ের সমাপনী কুচকাওয়াজ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি, মানবিক সংকট চরমে
ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন রিসোর্ট পুড়ে ছাই