চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বহাল তবিয়তে মাদকের উপপরিচালক মিজান
১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৩ এএম
ছুটির দিনে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে রিসোর্টে গিয়ে আমোদ-ফুর্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক চাঁদা আদায় এবং লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মৌলভীবাজার) মিজানুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে। স্থানীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম স্বাক্ষরিত স্মারকে উঠে এসেছে। এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অত্যন্ত প্রভাবশালী উপ-পরিচালক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল পর্যন্ত বিভাগীয় কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি রয়েছেন স্বপদে বহাল। উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তিনি দিনের পর দিন এ ধরনের অনিয়ম করে আসছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল রোববার ইনকিলাবকে বলেন, আনীত অভিযোগের সত্যতা মেলায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাসখানেক আগেই উপপরিচালক (মৌলভীবাজার) মিজানুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান শরীফ ইনকিলাবকে বলেন, তিনি বেশকিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় রোষানলের শিকার। ঊর্ধ্বতনদের তদন্তে চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে, এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১৪ নভেম্বর মিজানুর রহমান শরীফ মৌলভীবাজারে যোগদান করেন। এর পর থেকেই তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন পর্যটন স্পটসহ জেলা সদরের একটি রিসোর্টে গিয়ে বিনোদন করতেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারছিলেন না। এ ছাড়া চা বাগানের পাট্টার বাংলা মদের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের মাসিক চাঁদা দিতে বাধ্য করছেন। পরিদর্শনে গেলেও তাকে দিতে হতো মোটা অঙ্কের ঘুষ। অন্যথায় লাইসেন্সধারী বৈধ ব্যবসায়ীদেরও তিনি ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিতেন। চাঁদা আদায়কালে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা তাকে অবরুদ্ধ করেও রাখেন। এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন বাগানের ২৩ জন ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্যের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ রাঙ্গামাটি জেলায় থাকাবস্থায় তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। সেখানেও তিনি বেপরোয়া ছিলেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি