ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১

রাজনৈতিক সমঝোতা ও ঐক্যে বিঘ্ন ঘটছে : উপদেষ্টা নাহিদ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম

 

 

রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল সেখানে ছাত্ররাই প্রধানত নেতৃত্ব দিয়েছিলে। সেই সমঝোতায় এখন মনে হচ্ছে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। দেশ পুনর্গঠনের জন্য আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, অভ্যুত্থানে আমরা যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে ছিলাম, সেই জায়গাটা কিন্তু এখনো আমাদের রাখা উচিত। রাজনৈতিক সমঝোতা চলছে, সেখানে আমরা চাইবো রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের সঙ্গে ও জনগণের সঙ্গে এক ধরনের ঐক্যমতে এসে পৌঁছাক। সরকার যে কোনো ঐকম্যেকে সাধুবাদ জানায়। আমরা যেকোনো জাতীয়-রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নেব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের কথাটি বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু কখনোই বলেনি তারা নির্বাচন দেবে না। মাত্র তিন মাস হয় ক্ষমতায় এসেছে। এখনো সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। পুলিশ প্রশাসন থেকে সব জায়গায় আরো অনেক কাজ করার বাকি আছে। আমরা যদি কিছু মৌলিক কাজ না করতে পারি, তাহলে কিন্তু নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না। শুধু ক্ষমতার হাত বদল হবে। নিশ্চয়ই ক্ষমতার হাত বদলের জন্য এত এত মানুষ শহীদ হয়নি।

তিনি বলেন, এই যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেখানে আমরা যে প্রায়োরিটিটা দিয়েছি। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন সেই পরিবারের কাছে দাঁড়ানো। তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং তাদের পুনর্বাসন করা। এই কাজ এই সরকারের আমলে সম্পন্ন করা এবং উদ্যোগ নেওয়া। আমাদের দ্বিতীয় কাজটি হচ্ছে যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচারের আওতায় আনা। আমরা চাই না জাতি বিভক্ত থাকুক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এই বিচার প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিতে চাই এবং সম্পূর্ণ করতে চাই।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, তৃতীয় ধাপ হচ্ছে সংস্কার। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে পড়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নাই। আমাদের পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম সবগুলোর প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে। সেগুলোতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সামনে কীভাবে চলবে সেগুলো একটি রূপরেখা দিতে হবে এবং জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। এই নতুন বাংলাদেশে আমরা এই কাজগুলো ধাপে ধাপে করতে চাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান মাহবুবা ফারজানা, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) ফারুক ওয়াসিফ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীর, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য প্রমুখ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অকস্মাৎ মৃত্যু ইসলামে কাম্য নয়

অকস্মাৎ মৃত্যু ইসলামে কাম্য নয়

হাসিনা পালিয়ে না গেলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো: ইসমাইল সম্রাট

হাসিনা পালিয়ে না গেলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো: ইসমাইল সম্রাট

কেরানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১০

কেরানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১০

দস্তগীরের বানোয়াট প্রশ্নের সমুচিত জবাব দিলেন ম্যাথু মিলার

দস্তগীরের বানোয়াট প্রশ্নের সমুচিত জবাব দিলেন ম্যাথু মিলার

বাংলাদেশের মাটিতে যত খুন হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যকান্ড হয়েছে সবার বিচার এই মাটিতেই হবে; শামা ওবায়েদ

বাংলাদেশের মাটিতে যত খুন হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যকান্ড হয়েছে সবার বিচার এই মাটিতেই হবে; শামা ওবায়েদ

রাসুল সা. এর জীবনাদর্শই আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের একমাত্র চাবিকাঠি- সিলেটে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী

রাসুল সা. এর জীবনাদর্শই আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের একমাত্র চাবিকাঠি- সিলেটে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী

অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনে মিরাজ, শীর্ষ বোলার রাবাদা

অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনে মিরাজ, শীর্ষ বোলার রাবাদা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী জ্ঞান-গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে

শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী জ্ঞান-গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে

চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী মাছপাড়ায় অবৈধ ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী মাছপাড়ায় অবৈধ ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে

ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে

মানবাধিকারের নামে সমাকামিতা প্রমোট করা জনগণ মানবে না

মানবাধিকারের নামে সমাকামিতা প্রমোট করা জনগণ মানবে না

ইসরাইলি হামলায় আরও ১০২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরাইলি হামলায় আরও ১০২ ফিলিস্তিনি নিহত

পর্তুগাল জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের কাউন্সিল সম্পন

পর্তুগাল জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের কাউন্সিল সম্পন

শিক্ষার সব স্তরে 'ইসলাম শিক্ষা' বাধ্যতামূলকসহ ৭ দাবি

শিক্ষার সব স্তরে 'ইসলাম শিক্ষা' বাধ্যতামূলকসহ ৭ দাবি

আয়রন ডোমের আদলে তুরস্কের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ

আয়রন ডোমের আদলে তুরস্কের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ

ইরান সামরিক বাজেট তিন গুণ বাড়াবে

ইরান সামরিক বাজেট তিন গুণ বাড়াবে

রহস্যঘেরা মায়া সভ্যতার শহরের খোঁজ মেক্সিকোয়

রহস্যঘেরা মায়া সভ্যতার শহরের খোঁজ মেক্সিকোয়

উষ্ণায়নের প্রভাবে মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাতে বিলম্ব

উষ্ণায়নের প্রভাবে মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাতে বিলম্ব

টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা চীনের শীর্ষ ধনী

টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা চীনের শীর্ষ ধনী