ঘোর সঙ্কটে জনগণের পাশে সাহস ও শক্তির প্রতীক সেনাবাহিনী, নেটিজেনদের প্রশংসা
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
সারাদেশে চলমান বিশৃঙ্খলার পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির একের পর পর ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। পতিত স্বৈরাচার এবং দেশ ও দেশের বাইরে থাকা তাদের দোসররা একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে তুলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ড. ইউনূস সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে খুনি হাসিনাকে সাথে নিয়ে সরাসরি ইন্ধন দিচ্ছে ভারত।
সম্প্রতি উগ্রবাদী ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উগ্রবাদী ইসকনের নেতৃত্বে যে ভয়াবহ সহিংসতা চালানো হয় তাতে দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনেকটাই উম্মোচিত হয়েছে। খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও এসবের পেছনে বিদেশি ইন্ধনের কথা বলেছেন। এর আগে রাজধানীর কয়েকটি কলেজের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্ব লাগিয়ে অস্থিরতা তৈরি করে ফ্যাসিবাদের দোসররা।
এমনই এক পরিস্থিতিতে জনগণের মত এসব বিশঙঙ্খলার পেছনে উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন দেখছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীও। চিন্ময়কে গ্রেফতার নিয়ে ইসকনকে দিয়ে যে ভয়ানক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল সেনাবাহিনীর দৃঢ়চিত ভূমিকার কারণে তা নিয়েন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। নাহলে দেশে ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারত বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সেনাসদর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল-স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, ইন্ধনদাতারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। ইন্ধনদাতাদের পরিচয় এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। একেকজনের মোটিভ (উদ্দেশ্য) একেক রকম। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকতে পারে, আবার অন্য স্বার্থও থাকতে পারে। তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্ধন জোগাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা।
ইন্ধনদাতারা যুগে যুগে ছিল, থাকবে—এমনটি উল্লেখ করে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে ইন্ধনে প্রভাবিত না হওয়া। তাহলে ইন্ধনদাতাদের প্রভাব অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ইন্ধনদাতা একটি পোস্ট করার পর সেটি না বুঝেই অনেকে ছড়িয়ে দেন। যেসব ইন্ধনদাতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ব্রিফিংয়ে হাসিনার দোসর চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় গত মঙ্গলবারের বিশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা হওয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সেনা কর্মকর্তা ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তার কারণে আরও অনেক বড় ঘটনা ঘটেনি। সেখানে আদালত প্রাঙ্গণে এবং রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কী রকম ছিল? সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু ঘটনাটি আরও খারাপ হতে পারত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সময়মতো পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে পুরো ঘটনা অনেকটা কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করা গেছে।
সম্প্রতি যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা–ভাঙচুর এবং ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সেনাসদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি, পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, যাত্রাবাড়ীর ঘটনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এরই মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রতিটি ঘটনা আলাদাভাবে বিচার করা প্রয়োজন। এখানে অপরাধীরা আছে, ইন্ধনদাতারা আছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে ইন্ধনদাতারা।
ফেসবুকে মালেক ব্যাপারী লিখেছেন, আমাদের সেনাবাহিনী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশে বীরত্তের পরিচয় দিয়েছেন। চলমান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়ও জনগণের পাশে থেকে দৃঢ় ভূমিকা রেখে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব আমাদের প্রাণের বন্ধু। অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশ যৌথবাহিনীকে।
মোঃ জয়নাল আবেদীন লিখেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের বিষয়। দেরিতে হলেও সেনাবাহিনী তাদের ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তাতে সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা না রাখলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারত। তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে। এটাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চাইলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়া সম্ভব।
জি এম মাহিরুল ইসলাম লিখেছেন, সেনাবাহিনী যেভাবে তাদের অবস্থা দেশবাসীকে জানাচ্ছে এইভাবে সকল সেক্টরের জানানো উচিত। এই পরিস্থিতিতে সেনবাহিনীর নিরলস পরিশ্রম আসলেই গর্ব করার মতো।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের উত্তপ্ত ভারতের পার্লামেন্ট, অধিবেশন মুলতবি
কুরস্কে ইউক্রেনের সৈন্যদের কঠিন সংগ্রাম এবং ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা!
আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
ত্রিপুরায় বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ও খাবার মিলবে না
কক্সবাজারে গোয়েন্দা অভিযানে ২ অস্ত্রধারী আটক
খোশরোজ কিতাব মহলের মালিক মহীউদ্দীন আহমদ আর নেই
চীনের ‘ঝুহাই এয়ারশো ২০২৪’,ভবিষ্যৎ বিমান শক্তির এক ঝলক
ভারত নিজেকে মনে করে সে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বড়-দাদা : কবীর সুমন
‘ভারত বয়কট হোক’
ইসরায়েলকে ‘গণহত্যায় দায়ী বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ ঘোষণা করলো মর্যাদাপূর্ণ অক্সফোর্ড ইউনিয়ন
সকালে ঝলমলে রোদ,সন্ধ্যা নামতেই শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি বিটিআরসি
আজ ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস
সময় এসেছে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গির, ভারতকে নিয়ে বার্তা হাসনাতের
আসছে নতুন টাকা, থাকছে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি
রায়গঞ্জে ৮ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসকে বরণ করে নিলেন সাধারণ মানুষ
চাঁদপুরে দুই কোটি টাকার ব্রিজে উঠতে লাগে মই দিয়ে
ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
খুনি হাসিনা সরকারের অর্থপাচারের তথ্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হবে’
শীতের শুরু থেকেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে লেপ-তোষকের দোকানে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে