এবার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর চিন্ময় কৃষ্ণকে ধুয়ে দিলেন গোবিন্দ প্রামাণিক
০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও উগ্রবাদী ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে এবার ধুয়ে দিলেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
সম্প্রতি সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতে পলাতক খুনি হাসিনার দোসর খ্যাত চিন্ময় কৃষ্ণের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, চিন্ময় কৃষ্ণ আওয়ামী লীগের পুতুল এবং ইসকনের নাম ব্যবহার করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কাজ করছেন এবং তাদের অধিকার হরণ করছেন।
সাক্ষাৎ করে গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, এই পাঁচ তারিখের ঘটনার পরে কিন্তু আমার কাছেই প্রথম অফার (ভারতের পক্ষ থেকে) আসছিল যে, আপনাকে একটা বিশাল অবিসংবেদিত নেতা হিসেবে আমরা গড়ে তুলবো। আপনি সামনে থাকবেন শুধু। যখন ইসকন চিন্ময় কৃষ্ণকে বহিষ্কার করে এই চিন্ময় কৃষ্ণ কিন্তু ইসকনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
তিনি ইতিহাস টেনে বলেন, সেই সময় আওয়ামী লীগের সময় এই সমস্ত বড় বড় ঘটনাগুলো ঘটছে, গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে সেটার এবং হিন্দুর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তখন এই লীলারাজ ব্রহ্মচারী এবং চিন্ময়ীরা এরা কিন্তু সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, হাসিনার আমলে ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটে নাই।
চিন্ময় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মূলত হচ্ছে ইসকনের নামে চলছে, ইসকনের ধারে কাছেও নাই।একজন বলছে যে, তার প্রতি মাসে নাকি ২৫ লাখ টাকা লাগে। হাত খরচ তার এই টাকাটা কোথা থেকে আসে?- আমরা জানিনা। এটা আমরা শোনার কথা আর কি। তো মূল বিষয়টা হচ্ছে তার পিছনে তো নওফেলরা আছে।
গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, এদিকে রংপুরের বিষয়টা আমরা শুনেছি যেটা খালিদ মাহমুদ সহ আরো কয়েকজন আছে। তো তারা যদি মনে করে যে অন্যের পয়সায় অন্যের শ্রমে অন্যের লোক বলে আমি নেতা হইতে, নেতা হয়ে যাব, তো এই লোভটা কে ছাড়ে। গেরুয়া ড্রেস পড়লে অনেকেরই আবার মাথা ঠিক থাকে না।
‘আজকে ভারত এনার পক্ষে বলতেছে। কিন্তু ভারত কিন্তু রামরহিমকে ঠিকই বিতাড়িত করেছে এবং ভারত কিন্তু প্রতিনিয়ত এই সমস্ত সাধু-সন্ন্যাসীদের ঠিকই সাইজ করে এরা। এরা এত চতুর যে, নিজেদের দায়ভারটা ইসকনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। এদের পিছনে যারা উস্কানিদাতা তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি। এইদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত এইদিকে দৃষ্টি না দিয়ে তাদের দৃষ্টিটা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত তারাই করছে কৌশল করে যাতে মানুষ প্রকৃত আসামিদের প্রকৃত দ্বারা দুষ্কৃতিকারী তারা যেন বেঁচে যায়। এই মানুষের দৃষ্টি যেন, ইসকন নিয়ে ভাবে।’
হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব আরও বলেন, (চিন্ময়) ২০২৩ সাল থেকে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত এবং তার বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড প্রটেকশন যে টিম তাকে বহিষ্কার করেছে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয় নিয়ে, সেটা নিয়ে সবাই জানে। প্রত্যেকে এবং ইসকনের মন্দির থেকে তাকে বহিষ্কার করে। ইসকন মন্দিরে সে থাকতেও পারবে না। এরকম কিন্তু ওইখানে নওফেল সাহেব আপনারা জানেন যে, আওয়ামী লীগের এক নেতা এবং আজম ও নাসির উনারা দুইজন হচ্ছে পুন্ডরিক আশ্রম নামে একটা আশ্রমে সেখানে শেল্টার দিয়ে উনার এবং আরেকটা লীলাজ ব্রহ্মচারী দুইজনকে সহ আরো কয়েকজনকে একটা টিম মিলে ওখানেই তাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং সেখানেই তাদের পেট্রোনাইজ, তারাই পেট্রোনাইজ করে তাকে রেখেছে এবং যখন এই তাকে বহিষ্কার করে এই চিন্ময় কৃষ্ণকে, চিন্ময় কৃষ্ণ কিন্তু ইসকনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সেই সময় তার মানে ইসকনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল সেই সময় থেকে কিন্তু যেহেতু আওয়ামী লীগ জড়িত ওদের পক্ষে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবেই আন্দোলন করছিলাম যে, আওয়ামী লীগের সময় এই সমস্ত বড় বড় ঘটনাগুলো ঘটছে গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে, সেটার এবং হিন্দুর সংখ্যাও কমেছে। এটা নিয়ে যখন আমেরিকার কংগ্রেসম্যানরা এসে বাংলাদেশে এসে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করলো তখন এই লীলারাজ ব্রহ্মচারী এবং চিন্ময়ীরা এরা কিন্তু সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, না হাসিনার আমলে ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কোন ঘটনাঘটে নাই। হিন্দুরা অত্যন্ত সুখে আছে ভালো আছে। শুধু তাই না, জো বাইডেনকে তারা চিঠি লিখেছে যে, এই কংগ্রেসম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তখন থেকেই তারা হচ্ছে আওয়ামী লীগের পারপাস সার্ভ করার একটা পরীক্ষিত নেতা।
সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আজ একশ’র উপরে মানুষ জেলের মধ্যে। কিন্তু যখন রংপুরে যাচ্ছে সে কিন্তু খুব আনন্দের সঙ্গে হাসিমুখে যাচ্ছে। তার মনের মধ্যে কিন্তু এই কষ্টটা নাই যে, আমার আন্দোলনের ফলে আজকে ১০০ লোক জেলে। প্রায় আড়াই হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে গেছে। আমি নিজে আজ ২৫ বছর উকালতি করি। একজন মানুষের বিরুদ্ধে যখন মামলা হয় তার যে আহাজারী, তার আত্মীয় স্বজন তার ছেলেমেয়েদের কোর্টের প্রান্তে প্রান্তে দৌড়াইতে দৌড়াইতে, উকিলের ফি পেশকারের ফি.. নানান জনের অর্থ দিতে দিতে পরিবারগুলো একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। অথচতার মধ্যে কিন্তু সেই অনুশোচনা নাই। তাদের কর্মকাণ্ডের ফলে আজকে সমস্ত হিন্দু সমাজ ভিকটিম হয়ে যাচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান