পার্বত্য চুক্তির সংবিধান বিরোধী ধারা-উপধারা সংশোধন প্রয়োজন : বাংলাদেশ ন্যাপ
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
‘২ ডিসেম্বর ২০২৪ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৭ বছরেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় নাই পার্বত্য অঞ্চলে। বরং নতুন নতুন দলের আবির্ভাবে বেড়েছে দ্বন্ধ-সংঘাত। আধিপত্য বিস্তার, গুম-খুন, চাঁদাবাজি ও ভাতৃঘাতি সংঘাতে উত্তাল পার্বত্য জেলাগুলো। শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ পার্বত্য চুক্তির সংবিধান ও মৌরিখ অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক ধারাগুলো বাতিল করা’ বলে অভিম প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) “পার্বত্যচুক্তির ২৭ বছর পূর্তি” উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক পার্বত্য চুক্তির বিভিন্ন ধারাগুলোর বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা এখন সময়ের দাবি। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আইনগুলো সংস্কার বা রিফ্রম করার উদ্যোগ নিতে কমিশন গঠন করা উচিত।’
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধানের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অনেক ধারা-উপধারা সাংঘর্ষিক। তাই এই চুক্তির সংবিধান বিরোধী ধারা-উপধারা গুলো সংশোধনের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু, রাজঅৈনতিক সরকারগুলো গত ২৭ বছরেও তা করে নাই। বরং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য পদগুলো দলীয় আনুগত্যের উপহার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। দেশ ও দুনিয়া সম্পর্কে না জানা, দুর্নীতিবাজ, রাজনৈতিক দলের নেতারাই চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে সকল সময়ই। এরা চুক্তির উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য সম্পর্কেও জানে না। এসব জায়গায় সংস্কার না হলে চুক্তির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে বার বার।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাঙালিদের জন্য অসম্মানজনক, অবমাননাকর, মৌলিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চুক্তি অনুযায়ী করা জেলা পরিষদ আইনের ২(ক) ধারায় বাঙালি জনগণকে অউপজাতীয় হিসেবে আইডেনটিটি দেওয়া সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের সাথে, ২(কক) ও ১৭ (১) ধারা অনুযায়ী বাঙালিরা ভোটার হতে হলে বৈধ জমি ও নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকার বিধান সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদের সাথে, ৩১, ৩২ ও ৬২ ধারামতে বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার প্রদান সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের সাথে, ৫৮ ও ৭১ ধারামতে চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধির লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত মামলা নিতে না পারা বা পরিষদের কারো বিরূদ্ধে মামলা করতে হলে এক মাস সময় দিয়ে নোটিশ প্রেরণ সংবিধানের ২৭, ৩১ অনুচ্ছেদের সাথে অসামঞ্জস্য বিধায় সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাতিল করা প্রয়োজ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সব ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
উইন্ডিজ শিবিরে নাহিদের জোড়া আঘাত
আন্তবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন জবির ফিন্যান্স বিভাগ
আগরতলা হাইকমিশনে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ
বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ ১২ আলেমের বিরুদ্ধে সাদপন্থীদের মামলা
নেতাদের ভুল শুধরে নিয়ে জনগণের পাশে থাকার আহবান তারেক রহমানের
‘বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করতে জাতিসংঘে সেনাবাহিনীর আহবান করেছে মমতা ব্যানার্জি’
‘উগ্রহিন্দুদের আট দাবিতে বাংলাদেশকে অখণ্ড ভারতের অংশ বানানোর পরিকল্পনা চলছে’
ফুটবল মাঠে সংঘর্ষ, ৫৬ জন নিহত
বিগ ব্যাশে খেলবেন না রিশাদ
ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা, ঢাবিতে ছাত্র অধিকারের বিক্ষোভ
হিন্দুত্ববাদী ভারত কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: মাহমুদুর রহমান
খরা ও ভূমি ক্ষয়ের বিরুদ্ধে জরুরি বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
যেভাবে আতিথেয়তার পোশাক সরবরাহ করে বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে ক্লোথ স্টুডিও
মাস্টারকার্ড আকর্ষণীয় “ভিক্টরি ফ্ল্যাশ ক্যাম্পেইন” চালু করেছে
প্রাণ-আরএফএল-কে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন ও সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্সিং সুবিধা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ‘ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও নেতৃত্ব’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ পদ্ধতির বদলে বাড়বে গতি, কমবে সময়
আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দিল্লির দুঃখ প্রকাশ
ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলায় নিন্দা নাগরিক কমিটির