‘উগ্রহিন্দুদের আট দাবিতে বাংলাদেশকে অখণ্ড ভারতের অংশ বানানোর পরিকল্পনা চলছে’
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
ইসকনসহ সকল উগ্রহিন্দুরা ‘অখণ্ড ভারত’ তত্ত্বে বিশ্বাসী। তারা বাংলাদেশের পৃথক অস্তিত্ব স্বীকার করে না, নিজের অংশ বলে দাবী করে। এমন একটি উগ্রহিন্দুত্ববাদী কল্পনা, যার মধ্যে হিন্দু ছাড়া কোন ধর্মের মানুষের অস্তিত্ব নেই। এই অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করতে ইসকনসহ উগ্রহিন্দুরা প্রতিনিয়ত মুসলিম বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত বলে মন্তব্য করে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সদস্যরা বলেন, অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবেই গত আগস্ট মাসে সরকারের পতনের পর তারা ৮ দফা দাবী নিয়ে মাঠে নামে। সেই দাবীর মধ্যে বাংলাদেশেও ফিলিস্তিনের মত মুসলিম নিধন করে অখণ্ড ভারতের অংশ বানানোর পরিকল্পনার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ইসকনসহ সকল উগ্রহিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ মোড় ফালইয়াফরাহু চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেন, ৮ দফা দাবীর মধ্যে একটি উল্লেখ্যযোগ্য দাবী হচ্ছে, অর্পিত সম্পত্তি আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাস্তবায়ন। বক্তাগণ বলেন, এই অর্পিত সম্পত্তি ও দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে উগ্রহিন্দুরা বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ জমি নিজেদের বলে দাবী করে এবং তা ভারতের অংশ বানাতে চায়। ইতিমধ্যে তাদের সমর্থনে ভারতের হিন্দুরাও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাকে ভারতের অংশ বানানোর দাবী তুলেছে। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশ দখলের হুমকি দেয়, তবে তার পাল্টা জবাব দিয়ে বলতে চাই, আমরাও তাদের চিকেন নেক বা মুরগীর গলা চেপে ধরে সেভেন সিস্টার দখল করবো, পশ্চিমবঙ্গকেও বাংলাদেশের অংশ করে নিবো। বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, ভারতের অখণ্ডতাই এখন হুমকির মুখে।
সুলতানি ও মুঘল আমলে বাংলার বেশিরভাগ ভূমির মালিকানা ছিলো হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি বা সূফী-দরবেশগণ ও মুসলমানদের জিম্মায়। তখন এই জমিগুলোতে বলা হতো- লাখেরাজ সম্পত্তি। কিন্তু ব্রিটিশ বেনিয়ারা বাংলা অবৈধ দখল করার পর ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন করে মুসলমানদের জমিগুলো কেড়ে নেয় এবং তাদের দালাল বিশ্বাসঘাতক হিন্দুদের দিয়ে দেয়। ব্রিটিশদের থেকে দালালীর উপহার পাওয়া জমিগুলো নিয়ে হিন্দুরা নিজেদের জমিদার বলে দাবী করতে থাকে। বর্তমানে হিন্দুরা অর্পিত ও দেবোত্তর সম্পত্তি বলে যা দাবী করে, সবগুলো হচ্ছে অবৈধ দখলদার ব্রিটিশ বেনিয়াদের থেকে দালালীর পুরষ্কারস্বরূপ পাওয়া জমি। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বক্তাগণ বলেন, ব্রিটিশদের দখলদারিত্ব যেমন অবৈধ, তেমনি তাদের হিন্দুদের জমি দেয়াটাও ছিলো অবৈধ। সেই অবৈধ জমি হিন্দুরা এখন দাবী করে কোন সাহসে?
যদি সেই সব জমির মালিকানা দাবী করতেই হয়, তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ জমির মালিক ছিলেন হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি বা সূফী-দরবেশগ ও মুসলমানগণ। জমি ফেরত দিতে হলে উনাদের পর-পুরুষদের ফিরিয়ে দিতে হবে, ব্রিটিশ দালাল হিন্দুদের কেন ফেরত দিতে হবে ? প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা।
সংগঠনের সদস্যরা বলেন, ভারতীয় চিকিৎকরা নাকি বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে। আমরা বলবো- ভারতে গিয়ে বাংলাদেশীদের চিকিৎসা নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশেই যথেষ্ট ভালো মানের হাসপাতাল ও চিকিৎসক রয়েছে। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বক্তাগণ বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসার কারণে বহু বাংলাাদেশী রোগী মারা যায়। কিন্তু সেই খবর মিডিয়া সেন্সর করে ফেলে। সেই খবর প্রকাশিত হলে, বাংলাদেশীরা ভারতে কখনই চিকিৎসা নিতে যেতো না।
ভারতে হিন্দুরা কল্পকাহিনী সাজিয়ে মুসলমানদের মসজিদ দখল করছে। যেমন- তারা দাবী করে বাবরী মসজিদ নাকি রামের জন্মস্থান। অথচ রামের জীবনকাহিনী রামায়ণ গ্রন্থের লেখক বাল্মিকী তার লেখার শুরুতেই বলেছে- রামায়ণ হচ্ছে একটি কল্পকাহিনী। অথচ সেই কল্পকাহিনীকে পূজি করে হিন্দুরা মুসলমানদের জমি দখল করে, মসজিদ ভাঙ্গে। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক জনতার বক্তাগণ বলেন, আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ভারতের বিচারবিভাগ সেই কল্পকাহিনীর পক্ষে রায় দেয় এবং মুসলমানদের মসজিদ ধ্বংস করতে বলে।
বক্তাগণ বলেন, যে ভারত নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পারে না, তাদের অন্য দেশের সংখ্যালঘু নিয়ে মাথা ঘামানোর বিন্দুমাত্র অধিকার নেই। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বক্তাগণ ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ভারতের উচিত নিজের চর্কায় তেল দেয়া। তার নিজের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে তাদের চিন্তা করার কোন অধিকার-ই নেই। বাংলাদেশে কিছু আলেম নামধারী ধর্মব্যবসায়ী আছে, যাদেরকে মানুষ ওলামায়ে ছু বলে। এরা উগ্রহিন্দুদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এই সকল ধর্মব্যবসায়ী ওলামায়ে ছু’রা দাড়ি-টুপি নিয়ে পূজার সময় হিন্দুদের মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে। তারা হিন্দুদের সাথে সম্প্রীতি দেখাতে গেছে, কিন্তু হিন্দুরা সম্প্রীতি দেখায়নি। মুসলমানদের জবাই করে হত্যা করেছে। এতকিছুর পরও উগ্রহিন্দুদের রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে সেই ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ছু’র দল। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বক্তাগণ বলেন, যে সমস্ত আলেম নামধারী ধর্মব্যবসায়ী ওলামায়ে ছু উগ্রহিন্দুদের পক্ষে কথা বলে, সেসব ধর্মব্যবসায়ী ওলামায়ে ছু’রা হিন্দুদের দালাল, এরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। মুসলমানদের উচিত এসব ধর্মব্যবসায়ী ওলামায়ে ছু’দের সমাজচ্যূত করা এবং গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইফার প্রথম বোর্ড সভা কাল
আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে হামলার নিন্দা বিএসপি চেয়ারম্যানের
মৌলভীবাজারে মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত, গুরুতর আহত ১ জন
আমু-কামরুলকে হাজির করার নির্দেশ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার মেনন, ইনু, দীপু মনি ও পলক,
প্রতিশ্রুতি ভেঙে ছেলেকে ক্ষমা বাইডেনের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ
রূপগঞ্জে ফের হত্যা করতে সাংবাদিকের বসতঘরে সন্ত্রাসীদের গুলি
ভারত বাংলাদেশি কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ
'২০২৪ সালে শোবিজে শিরোনাম হয়েছেন টেইলর সুইফট, ওয়েসিস এবং শন ‘ডিডি’ কম্বস', এক নজরে দেখে নিন
আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা: যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত
প্রাক বড়দিন পালন করলে গারো পাহাড় সীমান্তে খ্রীষ্টানরা
আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে জাতির জন্য কঠিন নির্বাচন
ভারত বিরোধী স্লোগানে উত্তাল খুলনা
রেকর্ডের মালা গেঁথে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
মমতা ব্যানার্জির জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাবটি বাস্তবতা বিবর্জিত গালগল্প
গত সাড়ে ১৫ বছর এ জাতি জিম্মি দশায় ছিল- জামায়াত আমির ডা.শফিকুর রহমান