আগরতলায় হাইকমিশনে হামলা, দেশের দালালরা চুপ কেন?

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে এই হামলা চালান। তবে ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই কাহিনীর পর সরকার, দেশের রাজনৈতিক সংগঠন ও কিছু সুশীলরা নিন্দা জানায়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা ভারতকে বয়কট ও তাদের পণ্য বর্জনেরও আহ্বান জানান। তারা আরও বলেন, দেশের বড় একটি সুশীলরা এখনও নীরব। কেন তারা এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ বা নিন্দা জানায় না। না কি তারা বাংলাদেশের মানুষ নয়। তাদের কাছে ভারতে স্বার্থ বড় হয়ে গেল। আর যদি এই কাহিনী মুসলিমদের কোনো সংগঠন করতো তাহলে তারা এ নিয়ে হইচই ফেলে দিতো।

তারা বলেন, তারা তখন বলতো মুসলিমরা জঙ্গি বা সন্ত্রাসী। আসলে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হলো আপনারা। আপনারা তো নরপশু বা শয়তান। আপনারা হলেন ভণ্ড ও প্রতারক। আপনারা তো ভারতের স্বার্থ বা তাদের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন।

নেটিজেনরা বলেন, আপনাদের মতো সুশীলদের আমরা জুতা মারতে চাই। যারা নিজের দেশের জন্য কাঁদে না, তারা তো ভণ্ড, প্রতারক ছাড়া কিছুই নয়।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করার একটা ইস্যু আসে। এই জাতীয় সঙ্গীতের লেখক হলো ভারতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ মানুষরাই এর পরিবর্তনের পক্ষে ছিল। তখন সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করে খুনির দল আওয়ামী লীগ ও দেশের কিছু পা-চাটা সুশীল। যার ফলে জাতীয় সঙ্গীত আর পরিবর্তন হয়নি।

নেটিজেনরা বলেন, যারা এ নিয়ে এখনও চুপ আছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনুন। আসলে তারা ভারতের কাছে দেশ বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতের দালাল ও এজেন্ট। তাদের কাজই হলো ভারতের স্বার্থ হাসিল করা। সরকারে উচিত এগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা। কারণ তারা দেশ ও জাতির হুমকি।

বিভাগ : জাতীয়