ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১

আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে আপস হলে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে : আনসারী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ এএম

আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে আপস হলে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মুশফিকুল ফজল আনসারী।

 

তিনি বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতা সেটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদের জায়গা হবে না।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেট সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসন, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে বক্তব্যে মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তবে অসংখ্য মীর মদন এবং মোহনলালের মধ্যে কিছু জগতশেট ও মীর জাফরের আনাগোনা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে সুচারুরূপে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

তিনি বলেন, সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকার কথা। সেখানে আগুনে সবকিছু পুড়ে যাবে, তাতে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। বিষয়গুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে।

 

বাংলাদেশের সরকার প্রধান হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়তি পাওনা কিছু নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমগ্র দুনিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। জাতির প্রয়োজনে তিনি সামনে এসে দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।

 

ইউনুসের থ্রি-জিরো থিওরি সারা দুনিয়া গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মুশফিকুল ফজল বলেন, জাতিসংঘে তার বক্তৃতা সারা পৃথিবীর নেতারা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এই থ্রি-জিরো থিওরি গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স এই পদ্ধতিকে নিজেদের উন্নয়নের রূপরেখায় যুক্ত করেছে। কিন্তু অতীতের ফ্যাসিবাদী সরকার তাতে পাত্তা না দিয়ে বিদেশের মিশনগুলোকে বঙ্গমাতা-বঙ্গভ্রাতা দিবস পালনে ব্যস্ত রেখেছিলো।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো মানুষকে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফলে বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারছেন। সুতরাং তাদেরকে স্মরণ করতে হবে, মূল্যায়ন করতে হবে।’

 

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই জানেন এটা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। জনগণের তুলে দেওয়া পবিত্র দায়িত্ব তারা কাঁধে নিয়েছেন। ১৫ বছরের জঞ্জাল এবং পচাগলা নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে তুলে আনতে যে সময়টুকু প্রয়োজন সে সময় সরকারকে দেওয়া উচিত।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
রাসিকে দুদকের হানা, ধরা পড়ল অনিয়ম
ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল না করলে রোববার থেকে রাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
সাত দেশ থেকে আসবে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন জ্বালানি তেল
কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ
আরও

আরও পড়ুন

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত

নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ

লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ

টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ

যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ

আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ

আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ

উষ্ণতম বছর, উষ্ণতম দশক! আশঙ্কার বর্ষবরণ বিশ্বজুড়ে

উষ্ণতম বছর, উষ্ণতম দশক! আশঙ্কার বর্ষবরণ বিশ্বজুড়ে

মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি. এর সাথে শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল লি. এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি. এর সাথে শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল লি. এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

ভারত গেল জাতীয় ইয়ুথ ও জুনিয়র হ্যান্ডবল দল

ভারত গেল জাতীয় ইয়ুথ ও জুনিয়র হ্যান্ডবল দল

তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু

তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু

মাদক পাচারে জড়িত ৭২ আফগান নাগরিককে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান

মাদক পাচারে জড়িত ৭২ আফগান নাগরিককে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান

নতুন বছরে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শুভেচ্ছা বিনিময়

নতুন বছরে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শুভেচ্ছা বিনিময়

অস্ত্রোপচারে ভুল, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন রুশ মডেল

অস্ত্রোপচারে ভুল, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন রুশ মডেল

ফরিদপুরে ভলভো ব্যাটারির সিসা কারখানায় বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক দগ্ধ

ফরিদপুরে ভলভো ব্যাটারির সিসা কারখানায় বিস্ফোরণে তিন শ্রমিক দগ্ধ

শনিবার থেকে মাসব্যাপী ‘চট্টগ্রাম ফুল উৎসব’ শুরু

শনিবার থেকে মাসব্যাপী ‘চট্টগ্রাম ফুল উৎসব’ শুরু

কারাভোগ শেষে ফিরে গেছে ভারতীয় ৬৪ জেলে

কারাভোগ শেষে ফিরে গেছে ভারতীয় ৬৪ জেলে

সিবিএমএস সফটওয়্যার জটিলতা নিরসনে বন্ড কমিশনারেট অফিসার্সদের মানববন্ধন

সিবিএমএস সফটওয়্যার জটিলতা নিরসনে বন্ড কমিশনারেট অফিসার্সদের মানববন্ধন

প্রথম কূটনৈতিক সফরে সউদী আরবে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম কূটনৈতিক সফরে সউদী আরবে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মুজিবনগরের বহুল আলোচিত আলম হত্যা মামলায় বাদিসহ চার জন আটক

মুজিবনগরের বহুল আলোচিত আলম হত্যা মামলায় বাদিসহ চার জন আটক