মুজিবনগরের বহুল আলোচিত আলম হত্যা মামলায় বাদিসহ চার জন আটক

Daily Inqilab মেহেরপুর মুজিব নগর উপজেলা সংবাদ দাতা

০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম

 মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের চাঞ্চল্যকর আলমগীর হোসেন (আলম) হত্যা মামলার সন্দেহভাজন বাদিসহ চারজনকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
 
 
দীর্ঘ তিন মাস ধরে হত্যা মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তারানগর গ্রামের সেকের শেখ এর ছেলে হামিদুল শেখ (৩১),শাহবুদ্দীন মন্ডলের মেয়ে এবং আলমগীর হোসেন( আলম) এর স্ত্রী ও আলম হত্যা মামলার বাদি বেদেনা খাতুন(৩৭), আব্দুর রহমান এর ছেলে মিন্টু ধুলো পেটু (৪০) এবং আলম এর শাশুড়ি শাহবুদ্দীন এর স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৫৫)। বুধবার দিবাগত রাত্রে তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
 
 
মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, তিন মাস ধরে মামলাটি নিয়ে পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটককৃতদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাই বুধবার দিবাগত রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে তারা পরস্পর যোগসাজসে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে।
 
 
বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে ৩ জন ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এসময় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট দিবাগত রাত্রে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের আগবত আলীর মেজ ছেলে আলমগীর হোসেন আলম (৪৪) কে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
 
 
১০ই আগষ্ট হত্যার শিকার আলমের স্ত্রী মুজিবনগর থানায় ৩০২/৩৪( বাংলাদেশ পেনাল কোডে) ধারায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে যার মামলা নম্বর -২।

বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শ্রীমঙ্গলে শুরু হচ্ছে সম্প্রীতি উৎসব “হারমনি ফেস্টিভ্যাল”
রাজশাহীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
আরও

আরও পড়ুন

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর