আক্রান্ত হয় আরো দেড় হাজার

গেল বছর ডেঙ্গুতে ১৭ জন মৃত্যু হয় খুলনায়

Daily Inqilab খুলনা ব্যুরো

০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

২০২৪ সালে খুলনায় ১৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয় আরো দেড় হাজার। ডেঙ্গুর এমন প্রভাব সামলাতে খুলনার সরকারি বেসরকারি রীতিমত হিমশিম খায়। স্যালাইনসহ ওষুধ সামগ্রীর ছিল তিব্র সংকট। সেবা নিয়ে সন্তোষ-অন্তোষ ছিলো রোগীদের বছরজুড়ে।

 

প্রতি বছর বর্ষার শেষে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু গেল বছর পুরো বছর জুড়েই খুলনা ছিল ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি বছরের ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত খুলনায় মাত্র ১৮৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছিলো ৪ জনের। এর পর থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে । পরবর্তী চার মাসে খুলনায় প্রায় ১২শ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে খুলনায় গেল বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ৩৩জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৮ জন রোগী।

 

খুলনায় যখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে দাড়ায়। তখন চাহিদা বাড়ে স্যালাইনের। অতিরিক্ত চাহিদায় ফার্মেসিগুলোয় আইভি স্যালাইনের (শিরায় দেওয়া) সংকট ছিলো আগষ্ট ও সেপ্টম্বর মাসে। ওই সময় সরকারী হাসপাতালগুলোতে স্যালাইনের সাপ্লাইও ছিলো অপ্রতুল। ফলে বাড়তি দাম দিয়ে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হয়েছে রোগীদের। মাত্র ৮৭ টাকার স্যালাইন ২০০-২৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে জানাগেছে। সেপ্টেম্বরে ১৪ তারিখ হাসপাতালে ৩ হাজার লিটার স্যালাইন আসলেও চিকিৎসাধীন থাকা বিপুল সংখ্যক রোগীর তুলনায় তা খুবই সামান্য ছিলো। মশক নিধনে তেম কোন ভুমিকা দেখাতে পারেনি খুলনা সিটি কর্পোারেশন। ফলে খুলনা মহানগরীর দোলখোলা এবং রায়পাড়া এলাকাকে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নগরীর এ দুটি এলাকাসহ খুলনা সিটি করপোরেশনের অন্যান্য জনবহুল স্থানে জনসচেতনতায় কয়েকদিন মাইকিং করলেও ফগার মেশিন বা অন্যান্য মাধ্যমে মশক নিধনে তেমন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি কেসিসি।

 

এদিকে জুলাই আন্দোলনের পর পর খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই পালিয়ে গেলে নাগরিক সেবায় অভিভাবকশুন্য হয়ে পড়ে সিটি। চারিদিকে ময়লার ভাগাড় এবং জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ায় ডেঙ্গু চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় সারা বছরই খুলনাবাসীকে ভুগিয়েছে এডিস মশার অত্যাচারে। যদিও সেই আতঙ্ক নতুন বছরের শুরুতেও রয়ে গেছে।

 

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বজ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোঃ আনিসুর রহমান জানান, মশক নিধনে আমরা খুব শিঘ্রই ক্রাস প্রোগামে যাবো। এখন নিয়মিত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশক নিধনে ফগার মেশিন এবং স্প্রে করা হয়। আগের তুলনায় ডেঙ্গু বা এডিস মশার প্রকোপ খুলনা নাই।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শতাধিক এতিম শিশুকে ইউএনওর কম্বল উপহার
‘আল্লাহ মানব জাতিকে সম্মান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন’
৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং ৯ ঘন্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
আরও

আরও পড়ুন

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে

গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে

কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...

কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...

বিদায় বেলায় ইরানের পরমানু স্থাপনায় হামলার খায়েস বাইডেনের

বিদায় বেলায় ইরানের পরমানু স্থাপনায় হামলার খায়েস বাইডেনের

‘এইচএমপিভি’ এশিয়ায় নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

‘এইচএমপিভি’ এশিয়ায় নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা : নিউ অরলিন্স সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা : নিউ অরলিন্স সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বিয়ে করেছেন তাহসান খান, নতুন বছরের সেরা চমক

বিয়ে করেছেন তাহসান খান, নতুন বছরের সেরা চমক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প–সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুনরায় নির্বাচিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প–সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুনরায় নির্বাচিত

ঢাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ১৯ চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ঢাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ১৯ চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

সিরিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটি নিয়ে জার্মানিকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

সিরিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটি নিয়ে জার্মানিকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

আজ ঢাকায় উঁকি দিতে পারে সূর্য, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

আজ ঢাকায় উঁকি দিতে পারে সূর্য, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশ সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশ সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সউদী আরবের সিরিয়ার পুনর্গঠনে সমর্থন,পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

সউদী আরবের সিরিয়ার পুনর্গঠনে সমর্থন,পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

কাজাখস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, দুমড়েমুচড়ে গেল প্রায় ১০০ গাড়ি

কাজাখস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, দুমড়েমুচড়ে গেল প্রায় ১০০ গাড়ি

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার শেষ আশা ক্ষমা

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার শেষ আশা ক্ষমা

দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শতাধিক এতিম শিশুকে ইউএনওর কম্বল উপহার

দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শতাধিক এতিম শিশুকে ইউএনওর কম্বল উপহার

কানাডার সাংবাদিকতায় গুগলের বড় আর্থিক সহযোগিতা

কানাডার সাংবাদিকতায় গুগলের বড় আর্থিক সহযোগিতা

‘আল্লাহ মানব জাতিকে সম্মান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন’

‘আল্লাহ মানব জাতিকে সম্মান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন’

ট্রাম্পের 'হাশমানি' মামলার  শাস্তি ঘোষণা ১০ জানুয়ারি  , কারাদণ্ডের ইঙ্গিত নেই

ট্রাম্পের 'হাশমানি' মামলার শাস্তি ঘোষণা ১০ জানুয়ারি , কারাদণ্ডের ইঙ্গিত নেই