এস আলমের ৯০ বিঘা জমি জব্দ, সহযোগীদের ৬৬টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম

বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৯০ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া গ্রুপটির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাদ্দাম হোসেন, মর্জিনা বেগম, আলমাছ আলী, বেদারুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠান টপটেন ট্রেডিং হাউজ, গোল্ড স্টার ট্রেডিং হাউজের নামে থাকা ৬৬টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে এক হাজার ৩৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৭ হাজার ২২১ টাকা রয়েছে। ক্রোক আদেশ হওয়া জমি চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী, ডবলমুরিং, কোতোয়ালি, পটিয়া, বাকলিয়া, বায়েজিদ, সীতাকুণ্ড, শ্রীপুর, হাটহাজারী থানা এলাকার। এছাড়া গাজীপুর জেলার সদর থানায়ও কিছু জমি রয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জমি ক্রোক চেয়ে করা দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর হয়ে গেলে পরে সেটি উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিসমূহ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক বা জব্দ করা প্রয়োজন।
এদিকে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ চেয়ে করা আবেদনে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক ডিএমডি মো. আকিজ উদ্দিন (এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব) ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মর্জিনা আক্তার ও মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এস আলম গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে ভুয়া ঋণ ও বিনিয়োগ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘঠন করে বিদেশে টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বর্ণিত ব্যক্তিরা ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরে ওই টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পরবে। তাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৮ ধারার বিধান মতে ব্যাংক হিসাবসমূহ ফ্রিজ করা একান্ত আবশ্যক।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

দেশের বাজারে পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্স

প্রথম মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়

গিগাবাইটের জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৬০ সিরিজ বাজারে

জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখাবে বিটিভি

হাঙ্গেরি ও ভারতের দাবাড়ুর সঙ্গে তাহসিনের ড্র

বিদ্রোহী ৮ ফুটবলারের সঙ্গে সহসাই চুক্তি বাফুফের

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ

কাজাখস্তানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

নতুন কমিটি হলেও সুখবর নেই কুস্তিতে

ভালো লড়াইয়ের আভাস উইলিয়ামসের

ভেঙে ফেললেন ফুটবল ট্রফি

তারবিহীন উড়ন্ত রোবট তৈরি

চুরি ৭ জরিমানা ৭০ হাজার ডলার

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি

হবিগঞ্জে ট্রাক পিকআপ সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৪

মধ্যরাতে কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা

বর্বর ইসরাইলীদের সকল পণ্য বিক্রি ও কেনা বন্ধ করুন : চট্টগ্রামে মাওলানা নূরী

এ বছর হজের খরচ অনেকাংশে কমিয়েছি : হবিগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা

ফরিদপুরে প্রেমের ফাঁদে ভুয়া মেজর আটক!