দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায় আওয়ামী লীগ: ১২ দলীয় জোট

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ পিএম | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ পিএম

মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তের নাম 'স্বাধীনতা' আর চলমান আন্দোলনের রক্তের নাম 'গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার' তাই এই আন্দোলনেও স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণ তাদের বিজয় লাভ করবে এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন শেখ হাসিনা নামক স্বৈরশাসক সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আরেকটি রক্তঝড়া সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের শান্তি চায় না মুলত দেশে রক্তঝড়া সংঘাত চায়।

শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে প্রেসক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরনকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ এবার চূড়ান্ত নব্য-স্বৈরশাসকের রূপ ধারণ করেছে। তাদের সর্বশক্তি দিয়ে হটাতে হবে। অন্যথায় দেশ- জাতি নিরাপদ থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বাঁচার এখন একমাত্র পথ সরকার পদত্যাগ বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এছাড়া সরকারের বাঁচার কোন রাস্তা নেই।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নাই, তবে শীঘ্রই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দিবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান আওয়ামী মাফিয়া সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন আন্তর্জাতিক ভাবে ভোট চোরের স্বীকৃতি পেয়েছেন। এবার 'নাকে খত' দিয়ে পদত্যাগ করুন। মনে রাখবেন আমাদের স্বাধীনতার শিকড় ধরে টান দিবেন না।
তিনি বলেন, গুম- খুনসহ গত পনের বছরে বিরোধীদের ওপর বেপরোয়া নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে এবার ভোট বর্জন করেছে। তবে কথাবার্তা পরিষ্কার! আওয়ামী লীগের রাজনীতি কালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ বাবলু, গাজী ফারুক, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মুফতী আবু সাঈদ, মাওলানা খাইরুল ইসলাম, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মোঃ সাজু মিয়া, ইসলামী ঐক্য জোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোঃ আসাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবু মনসুর ভুইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, এরশাদুর রহমান, লায়ন উমার রাযী, শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু , ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান,ছাত্র জমিয়তের, নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ মাহমুদ, ছাত্র মিশনের মোসতাকিম বিল্লাহ প্রমূখ।


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অতিক্তি লোক ভিড় করায় মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি

অতিক্তি লোক ভিড় করায় মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের

দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর সদর দফতরে হামলা রাশিয়ার

দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর সদর দফতরে হামলা রাশিয়ার

আমাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় কে?

আমাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় কে?

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-১

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-১

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-১

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-১

উচ্চতাপ বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এ মাসেই

উচ্চতাপ বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এ মাসেই

অবশেষে গ্রেফতার সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দার

অবশেষে গ্রেফতার সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দার

ধরা পড়েনি কিলিং মিশনের ১২ খুনি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

ধরা পড়েনি কিলিং মিশনের ১২ খুনি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

ওসির শেল্টারেই চেয়ারম্যান তপনের নানা অপকর্ম

ওসির শেল্টারেই চেয়ারম্যান তপনের নানা অপকর্ম

জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ আজ

জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ আজ

৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন -ওবায়দুল কাদের

৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন -ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সচিবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সচিবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

কাউকে ছাড় দেবে না বিএনপি

কাউকে ছাড় দেবে না বিএনপি

ওমরা পালনে সস্ত্রীক সউদী আরব গেছেন মির্জা ফখরুল

ওমরা পালনে সস্ত্রীক সউদী আরব গেছেন মির্জা ফখরুল

শনিবার মাধ্যমিকে রোববার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে

শনিবার মাধ্যমিকে রোববার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে

এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার

এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার

রাশিয়ার উপগ্রহ-বিরোধী পারমাণবিক অস্ত্র ভয়ঙ্কর হতে পারে : পেন্টাগন

রাশিয়ার উপগ্রহ-বিরোধী পারমাণবিক অস্ত্র ভয়ঙ্কর হতে পারে : পেন্টাগন

শিক্ষা ক্যাম্পাসজুড়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গ্রেফতার-উচ্ছেদ

শিক্ষা ক্যাম্পাসজুড়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গ্রেফতার-উচ্ছেদ