সচিবালয়ে আগুন টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা: মাওলানা মামুনুল হক
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
দেশের স্বার্থবিরোধী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী গোষ্ঠী পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন মাওলানা মামুনুল হক। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশবিরোধী শক্তিদের স্পেস দিলে আপনাদের স্পেস কমে যাবে। আপনাদের হাতে সময় সীমিত। এ সময় যথাযথভাবে কাজে লাগান।
আজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১৫ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমীরে মজলিস আল্লামা ইসমাঈল রংপুরী। সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও মজলিসে শূরা খাসের সদস্য মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ মাহমুদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কুরবান আলী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা শরাফত হুসাইন, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছারউদ্দীন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমানও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত, একভাগে ভিনদেশী দালাল আরেকদিকে দেশপ্রেমিক জনতা। ভিনদেশী চক্র পনেরোটি বছর এক সেবাদাসীকে দিয়ে বাংলাদেশকে জিম্মি করে রেখেছিল। বিগত ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর তারা সেই কৃতদাসীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে একের পর এক নতুন ষড়যন্ত্র করছে। সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ তারই একটি অংশ। এর সাথে জড়িতদের বিচারের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন দিয়ে তোমরা বাংলাদেশের কাগজ পুড়িয়ে ফেলতে পারো কিন্তু হাজার মানুষের মনে তোমাদের ব্যাপারে যে ঘৃণা জন্মেছে তা মুছে ফেলতে পারবে না। এর আগে ইসকনকে দিয়ে তাদের বাংলাদেশ ধ্বংসের চেষ্টা প্রকাশ পেয়েছে সাইফুল ইসলাম আরিফের হত্যার মধ্য দিয়ে। টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যারা রাতের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা নিরীহ মুসল্লিদের উপর হত্যা ও হামলা কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা তাবলীগের সাথী নয়; তারা খুনী ও ভিনদেশী শক্তির অংশ। তাদেরসহ ফ্যাসিবাদের সকল দোসরদের রুখে দিতে দেশপ্রেমিক যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।
মাওলানা মামুনুল হক ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা আর কোন ফেলানিকে কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। সীমান্ত রক্ষাকারীদের কোনো লাশ দেখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, আমরা কোন বাকশাল দেখতে চাই না। আমরা ছাত্র জনতার অধিকার আদায় করতে চাই। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আন্দোলন ও সংগ্রামের জন্য যখন কোন ভূখণ্ড তৈরি হয়ে যায় তখন তা দমিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। কিন্তু চব্বিশে স্কুল কলেজ মাদরাসার ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই বিভাজন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন হয়েছে। তারা আজ অর্থনৈতিক সঙ্কটে। তারা আর মেগা পরিকল্পনার দেখতে চায় না। আজ বাংলাদেশের মানুষ ব্যাংকে যায় কিন্তু তারা চেক দেখিয়ে টাকা পায় না। পলায়নকারী স্বৈরচারের দোসররা বিদেশে টাকা পাচার করেছে। তাদের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে মজলিস মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী বলেন, শেখ হাসিনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সে সন্ত্রাসী ছিল। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যিকিররত মুসুল্লীদের উপর অতর্কিত হামলা করে অসংখ্য আলেম ও ইসলাম প্রিয় জনতাকে শহিদ করা হয়েছে। আজ অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি মনে করি এখনও নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা এদেশ থেকে দেশের সব কাঠামো ধ্বংস করে পালিয়েছে। সুতরাং যারা বলে হাসিনা আবার ফিরে আসবে, স্পষ্ট করে বলতে চাই, তা কখনো সম্ভব না। তা আমরা হতে দিবো না। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গিয়েছে, তাদের ধরে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তাহলেই এদেশে শান্তি ফিরে আসবে।
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রামগতি-কমলনগরে চলছে ৫৮ টি অবৈধ ইটভাটা সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে যা জানালো প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সদরপুরে হেরোইনসহ দুই যুবক আটক
নিউইয়র্কে কারাগারে বন্দি হত্যার ভিডিও প্রকাশ, তদন্ত শুরু
জামায়াতে ইসলামী ন্যায় ও ইনসাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়-হারুনুর রশিদ
সড়ক দুর্ঘটনায় পবিপ্রবির উপপরিচালকের মৃত্যু
'মলম' ময়ূখ বিধ্বস্ত তারেকের যুক্তির কাছে: অতঃপর পলায়ন!
হাসিনাকে ফেরাতে ঢাকার অনুরোধকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত?
দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি, আমরা বসে নেই: পিনাকী ভট্টাচার্য
৪১ বছর ইমামতি করা ইমামকে রাজকীয় বিদায়
ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিদেশি কর্মী, ভিসা নিয়ে বিতর্ক
আজও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
মাদারীপুরের মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বাংলাদেশের মানুষ ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দিবে: মিজানুর রহমান আজহারী
টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নেপাল গেল সৈয়দপুরের দল
আকাশ মণ্ডল থেকে ইরফান, তদন্তে জানা গেলো আসল পরিচয়
পর্তুগালে জাসাসের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করলেন রুশ বিমান প্রধান
প্রকাশ্যে এলো হানি-বাদশার দ্বন্দ্ব, গুরুতর অভিযোগ হানির
বন্ধ হয়ে গেলো গাজার শেষ হাসপাতালটিও