ঢাকা   শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১

ডিএনসির ‘হাত-পা বাঁধা’ থাকায় মাদক সাম্রাজ্য চালিয়েছেন বদি

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ভয়াল মাদকের নাম ইয়াবা। বিশেষ করে তরুণদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এই মাদক। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-কক্সবাজার দিয়ে আসে ইয়াবা। আর এই মাদক নিয়ে সবচেয়ে বেশি যার নাম উচ্চারিত হয়েছে তিনি আব্দুর রহমান বদি। কক্সবাজার এলাকায় তিনি ইয়াবা বদি নামেও পরিচিত।

 

২০০৮ ও ২০১৪ দুই মেয়াদে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক সংস্থার করা মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় শীর্ষে এসেছে বদির নাম। বিগত সরকারের আমলে ‘হাত-পা বাঁধা’ থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে পারেনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ স্বীকারোক্তি দেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ।

 

তিনি বলেন, ‘মাদকসেবন যেমন আসক্তি ঠিক এর কারবারও বড় আসক্তি। আপনারা মাদক সম্রাট বদির নামে আসলে আমরা আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মামলা নিতে পারিনি। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করছি। এখন আমাদের হাত পা বাঁধা নেই। আমরা তার (বদির) সব কার্যক্রমের তদন্ত করেছি। আমাদের একটি কমিটি তদন্ত করে কাজ করেছে। তারা তদন্ত করে বদি ও তার আত্মীয় স্বজনদের বিষয় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।’

 

মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘আমরা এখনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এজন্য সময় প্রয়োজন। আমাদের সোর্স লাগানো আছে। গডফাদারদের ধরার বিষয় অনেকেই প্রশ্ন করেন। কিন্তু গডফাদার থাকে অনেক পেছনে। তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়। এ জন্য সহজ কাজ হচ্ছে মানিলন্ডারিং মামলা। বদির পুরো পরিবারের তথ্য এসেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে কাজ করব। দ্রুতই একটা ফলাফল দেখতে পাবেন।’

 

তিনি বলেন, ‘মাদকের আধিপত্য এখনো অনেকেই ধরে রেখেছেন। আমরা সবার বিষয় কাজ করছি। আমাদের নিজেদের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি অন্য সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।’


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ম্যাচের আগে হঠাৎ বরখাস্ত এভারটন কোচ

ম্যাচের আগে হঠাৎ বরখাস্ত এভারটন কোচ

চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের

চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের

পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম

পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম

ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী

ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী

আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী

আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী

হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই

হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই

ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার

ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার

ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে

ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে

কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে

জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ

ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ

গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর  হামলা

গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার

বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে

বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে

আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি

আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি

গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স

গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স

৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ

৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস

চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস