সত্যিই কি ছাত্রলীগের হাতে ধর্ষণ হয়েছিলো মাহি?

রাশেদ রাসেল

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

সম্প্রতি এক শিক্ষার্থী দাবি করেন ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের কুলাঙ্গারদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। মাহি নামের এই নারী শিক্ষার্থী আরও বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে। তার ভাষ্যমতে হাসিনা পালানোর আগের দিন ৪ আগষ্ট ছাত্রলীগের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি এরপর সমন্বয়কদের জানালেও তাদের কাছে কোন সহযোগীতা পাননি বলেও অভিযোগ তার। নভেম্বরের ১০ তারিখ তিনি অন্তসত্তা হয়ে পড়েন বলেও বোমা ফাটান মাহি।

মূহুর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। সমালোচনা ও ট্রলের শিকার হন এই নারী শিক্ষার্থী। তাদের মতে তিনি কেন এতদিন চুপ থাকলেন? দেশে তো আইন আদালত সবই রয়েছে। ছাত্রলীগকে তো নিষিদ্ধও করা হয়েছে। তবে এতদিন ঠিক কোন কারণে চুপ ছিলেন ধর্ষিত হওয়া এই নারী এমন প্রশ্নও রাখেন নেটিজেনরা। যদিও এই নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ময় প্রকাশ করেন সারজিস আলম, উমামা ফাতেমা, নুসরাত তাবাসসুমের মত ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করা। নুসরাত তাবাসসুম, আহনাফ নামের একজনের ফেসবুক পোষ্ট শেয়ার করে লিখেন, ‘আদ্রিতাকে আমার সামনে এনে অভিযোগ করতে বলেন যে তাকে সাহয্য করতে চাওয়া হয়নি, আদ্রিতাকে সব রকমের সাহায্য দিতে চাওয়া হয়েছিলো। তার পরিবারের সাথে কথা বলে সুচিকিৎসা, নারায়ণগঞ্জের ঘটনাস্থলে তদন্ত, মামলা সবকিছুর কথাই বলা হয়েছিলো।

মাহির বিরুদ্ধে উল্টো অসহযোগীতার অভিযোগ তোলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি মাহির সাথে কথোপকথন এর হোয়াটসঅ্যাপ স্কিনসট শেয়ার করে বলেন, ধর্ষণের কথা জানার পর তাকে মামলার জন্য সকল সহযোগীতায় করতে চাওয়া হয়েছে কিন্তু সে বলে তার মুখ গুলো মনে পড়ছে না এবং সে মামলা করতে চায় না। এছাড়াও সারজিস আলমসহ আরও বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক প্রমাণসহ বিষয়টি তুলে ধরেছেন সামাজিক মাধ্যমে। জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়নগঞ্জ সদর থানার অন্যতম প্রতিনিধি সদস্য লুবনা রহমানও তার ফেসবুকে এ বিষয়টি নিয়ে একটি পোষ্ট করেছেন। তার দাবি মাহি মানুষিকভাবে অসুস্থ। সে যা অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট ও মিথ্যা। বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমের সাথেও কথা হয় লুবনা রহামানের এ সময় তিনি বলেন, ‘মাহি বলছে তাকে ৪ তারিখ ধর্ষণ করা হয়েছে, তাহলে সে কি করে পরবর্তীতে আন্দোলনেও অংশ নিলো?’

এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক দাবি করেন, মাহি মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হতে চেয়েছিলেন এবং বড় একটি পদ চেয়েছিলেন ছাত্র সংগঠনে। সেটি না পেয়েই এমন বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ তার। এই নারী শিক্ষার্থীর এমন কর্মকান্ডে ক্ষেপেছেন নেটিজেনরা। তাদের মতে মাহির নাটকের সাদৃশ্য রয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে।

বিভাগ : রাজনীতি